চলতি অর্থবর্ষ থেকে আয়করের কাঠামো বদল হয়েছে। বছরে ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করা পেশাদারদের কর নেমে এসেছে শূন্যে। সরকারের আশা ছিল, এর ফলে অতিরিক্ত যে টাকা মানুষের হাতে থাকবে, তা তাঁরা পছন্দ অনুযায়ী খরচ করবেন। চাঙ্গা হবে অর্থনীতি। কিন্তু চাকরি সংক্রান্ত অনলাইন পোর্টাল নওকরি-র এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই শ্রেণির অধিকাংশ মানুষই খরচ বাড়ানোর বদলে সঞ্চয় ও বিনিয়োগে জোর দিয়েছেন। অনেকে উদ্বৃত্ত অর্থ খরচ করছেন পুরনো ঋণ শোধে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, নতুন কর কাঠামো চালু হওয়ার ছ’মাসের মাথায় এই প্রবণতা সরকার ও শিল্পের কাছে উদ্বেগের। এরই মধ্যে আর দু’সপ্তাহের মাথায় নতুন জিএসটি কাঠামো কার্যকর হতে চলেছে। দাম কমতে চলেছে বিভিন্ন জিনিসপত্রের। এ ক্ষেত্রেও সরকারের আশা, সাধারণ মানুষ উদ্বৃত্ত অর্থে হাত খুলে খরচ করবেন। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই তা হবে কি? নাকি মানুষ এ বারেও আবদ্ধ থাকবেন আর্থিক রক্ষণশীলতায়?
দেশে ২০,০০০ পেশাদারের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে নওকরি। যাঁদের বার্ষিক আয় ১২.৭৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। দেখা গিয়েছে, ৫৭ শতাংশই উদ্বৃত্ত আয় ঢেলেছেন সঞ্চয় বা লগ্নিতে। ঋণশোধে কাজে লাগাচ্ছেন ৩০%। মাত্র ৯% উদ্বৃত্ত অর্থ খরচ করছেন জীবনযাপনের উন্নতিতে। ৪% খরচ বাড়িয়েছেন পর্যটন ও বিনোদনে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে নতুন আয়কর ব্যবস্থা সম্পর্কে সামগ্রিক সচেতনতার অভাবও। নতুনদের মধ্যে সচেতনতা বরং তুলনায় বেশি। ৬৪% জানাচ্ছেন, কর কাঠামোর সুবিধা সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল। বাকিদের একাংশের কাছে তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
অন্য দিকে, তথ্য বিশ্লেষণকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডপ্যানেল বাই নিউমারেটরের সমীক্ষায় দাবি, তিন বছরে ভারতীয় পরিবারে গড় ত্রৈমাসিকখরচ ৪২,০০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৬,০০০ টাকা। দেখা যাচ্ছে, বেহিসাবি খরচের বদলে অত্যাবশ্যক পণ্যের খরচই বাড়াতে হয়েছে তাদের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)