ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও আনতে চলেছে টাটা ক্যাপিটাল। এর মাধ্যমে বাজার থেকে ১৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা তোলার অনুমতি পেতে পারে টাটা গোষ্ঠীর এই সংস্থা। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই লাফিয়ে বাড়ল টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের স্টকের দাম। চলতি সপ্তাহে সেই ধারা বজায় থাকলে লগ্নিকারীদের লক্ষ্মীলাভের অঙ্ক যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
গত ৬ জুন, শুক্রবার আট শতাংশ বৃদ্ধি পায় টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের শেয়ারের দর। ফলে বর্তমানে এই স্টকটির দাম ৭,১৫০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, টাটা ক্যাপিটালের আইপিওতে বাম্পার লাভের সুযোগ পাবেন লগ্নিকারীরা। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে পারবে টাটা গোষ্ঠী। এতে আখেরে লাভবান হবে টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনও। সেই কারণেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির শেয়ারের সূচক।
আরও পড়ুন:
নিয়ম অনুযায়ী, আইপিও আনতে হলে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সেবির কাছে প্রয়োজনীয় নথি জমা করতে হয়। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সেরে ফেলেছে টাটা ক্যাপিটাল। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট নথিগুলি পর্যালোচনার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টাটা ক্যাপিটাল আইপিও আনার যাবতীয় ছাড়পত্র পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানি বা এনবিএফসির শ্রেণিতে টাটা গোষ্ঠীর সংস্থাটিকে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। সেবির থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেলে প্রকাশ্যে আসবে টাটা ক্যাপিটালের আইপিওর প্রাইস ব্যান্ড। অফার ফর সেলে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি বিপুল সংখ্যায় নতুন শেয়ার বিক্রি করবে বলে ব্রোকারেজ ফার্মগুলি সূত্রে মিলেছে খবর।
২০২৩ সালের নভেম্বরে শেয়ার বাজারে পা রাখে টাটা টেকনোলজ়িস। তালিকাভুক্তির দিনেই লগ্নিকারীদের বিপুল লাভের মুখ দেখিয়েছিল টাটা গোষ্ঠীর এই সংস্থা। টাটা ক্যাপিটালের ক্ষেত্রেও সেই ছবি দেখা যাবে বলে আশাবাদী বাজার বিশেষজ্ঞেরা। কারণ, আইপিও আনার আগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে বছর থেকে বছরের হিসাবে টাটা ক্যাপিটালের কর-পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১ শতাংশ। গত বছর এর অঙ্ক ছিল ৭৬৫ কোটি টাকা। এ বার তা বেড়ে হাজার কোটি টাকা হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া পরিচালনা থেকে রাজস্ব খাতে আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। গত বছরের মার্চ প্রান্তিকে এটি ছিল ৪,৯৯৮ কোটি টাকা। এ বার তা বেড়ে ৭,৪৭৮ কোটিতে পৌঁছেছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)