টাটা গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএসে (টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস) চলছে ছাঁটাই! এর জেরে চলতি আর্থিক বছরে কাজ হারাবেন ১২ হাজার কর্মী। কাদের উপর পড়বে সেই কোপ? ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সংস্থার চিফ এগজ়িকিউটিভ অফিসার বা সিইও কে কৃত্তিবাসন। কোনও সুনির্দিষ্ট দফতর বা এলাকাকে যে নিশানা করা হচ্ছে না তা স্পষ্ট করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে কৃত্তিবাসন বলেন, ‘‘শীর্ষপদ থেকে শুরু করে নিচু স্তর পর্যন্ত কর্মীদের একটা পিরামিডের আকারে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে একাংশের হাতে কোনও কাজ নেই। দিনের পর দিন তাঁরা বেঞ্চে বসে থাকছেন। খানিকটা দলের অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের মতো। প্রাথমিক ভাবে এঁদেরই বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ এ ব্যাপারে অবশ্য সুনির্দিষ্ট কোনও পদের উল্লেখ করেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
টিসিএস সূত্রে খবর, মাঝারি এবং সিনিয়র স্তরের কর্মীরাও ছাঁটাইয়ের আওতার মধ্যে থাকবেন। বিশ্বব্যাপী মোট কর্মী সংখ্যার দু’শতাংশ হ্রাস করার পরিকল্পনা রয়েছে টাটা গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটা শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর পাশাপাশি চাকরিহারা কর্মীরা কী কী আর্থিক সুযোগ সুবিধা পাবেন, সাক্ষাৎকারে তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন কৃত্তিবাসন। তিনি জানিয়েছেন, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের নোটিস পিরিয়ডের টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার কারণে অতিরিক্ত বিচ্ছেদকালীন টাকা পাবেন তাঁরা। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের বিমার সুরক্ষা সম্প্রসারণ করতে পারে টিসিএস। তাঁরা যাতে দ্রুত অন্য জায়গায় চাকরি পান, সে ব্যাপারেও সাহায্য করবে দেশের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।
বর্তমানে টিসিএসের মোট কর্মীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৩ হাজার। এর দু’শতাংশ, অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১২ হাজার ২০০ জন ছাঁটাই করছে সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃত্রিম মেধা বা এআইয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) দিকে আঙুল তুলেছেন কর্তৃপক্ষ।