ভারত থেকে ইরানে রফতানির জন্য প্রস্তুত ছিল চায়ের বরাত। কিন্তু ইজ়রায়েল-ইরান যুদ্ধের জেরে তা রয়ে গিয়েছে বন্দরেই। প্রায় ২০০ কোটি টাকার চা আটকে থাকায় মাথায় হাত রফতানিকারীদের। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চললেও ভরসা পাচ্ছেন না অনেকেই। আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁদের দাবি, যুদ্ধ পুরোপুরি না থামলে সার্বিক ভাবে ভারতের চা রফতানি মার খেতে পারে। পশ্চিম এশিয়ার অনেক দেশই যার ক্রেতা। এই চায়ের বড় অংশ যায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে।
চা রফতানিকারী সংস্থার কর্তা মোহিত আগরওয়াল বুধবার জানান, ইরানে যাওয়ার জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার চা মুম্বইয়ের নব সেবা বন্দরে আটকে। একে তো যুদ্ধের কারণে জাহাজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার উপর রফতানি পণ্যের বিমাও করাতে চাইছে না বিমা সংস্থাগুলি। ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা বলেন, “গত বছর ভারত থেকে ২৫ কোটি কেজি চা রফতানি হয়েছে। এ বছর তা আরও বৃদ্ধির আশা। এপ্রিল থেকে রফতানি শুরুও হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ সমস্যা তৈরি করছে। তবে আশা করছি, দু’দেশের সমঝোতা হলেই দ্রুত সমস্যা কাটতে শুরু করবে।’’ তিনি জানান, ভারত থেকে রফতানি হওয়া মোট চায়ের ১০.৬০ কোটি কেজি যায় ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশে। ইরানে অসমের ‘অর্থডক্স টি’ বেশি জনপ্রিয়।
চা শিল্পের দাবি, রফতানির উপরে অনেকটাই নির্ভর করে চা শিল্পের অবস্থা। ফলে সেটা নির্বিঘ্নে হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মোহিত বলেন, ‘‘রফতানি ঠিক মতো হলে চায়ের দাম ঠিক থাকে। মার খেলেই দেশে জোগান বেড়ে যায়। বাজারে কমতে থাকে দাম। যা আখেরে চা শিল্পের ক্ষতি করে। সম্প্রতি রফতানি বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যেই চায়ের দাম পড়তে শুরু করেছে। তবে আশা করছি, শীঘ্রই রফতানি শুরু হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)