ভুয়ো, অবাঞ্ছিত ফোন কলের পরে এই ধরনের মেসেজ থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে পদক্ষেপ করল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। এ জন্য টেলি সংস্থাগুলিকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া ‘হেডার’ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে তারা। সংস্থার থেকে আসা এসএমএস-এর প্রথম দুই অক্ষরের কোডকে হেডার বলে। যা বাণিজ্যিক, বিপণন বা পরিষেবা ভিত্তিক মেসেজের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়। ট্রাই বলেছে, সংস্থাগুলিকে দেখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ এমন হেডারগুলি দিয়ে যেন বিপণনের জন্য মেসেজ পাঠানো না হয়। সেটা হলে ওই সংস্থার সমস্ত হেডার থেকে মেসেজ পাঠানো নিষিদ্ধ হবে।
এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ, নথিভুক্ত না হলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে লিঙ্ক, ওয়েবসাইটের ইউআরএল বা কলব্যাক নম্বর থাকা মেসেজ পাঠানো যাবে না। অনেক সময়েই এই ধরনের মেসেজে পাঠানো লিঙ্ক টিপলে ফোন হ্যাকিং এবং তার মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা সামনে আসে। সেই প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ১ নভেম্বর থেকে এই ধরনের মেসেজের (শুধু নথিভুক্ত নম্বরের জন্য) ক্ষেত্রে এসএমএস-এর ট্রেল (মেসেজের উৎপত্তি ও সবিস্তার তথ্য) বাধ্যতামূলক। তাতে গোলমাল থাকলে মেসেজ বাতিল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের অবাঞ্ছিত কল বা মেসেজের হাত থেকে বাঁচাতে ১৪০ সিরিজের নম্বর আনা হয়েছে। যাতে টেলি বিপণন কল বা মেসেজের তফাত করা যায়। ট্রাই বলেছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই নিয়ম মানতে হবে সব টেলিমার্কেটিং সংস্থাকে। নিয়ম ভাঙলে তাদের দু’দিনের মধ্যে চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করতে হবে টেলিকম সংস্থাকে। ট্রাই বলেছে, নথিভুক্ত নয় এমন ১০ অঙ্কের নম্বর থেকে বিপণন বা ভুয়ো কল এলে তার পরিষেবা বন্ধ করতে হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)