টেলিকম টাওয়ার বসাতে সহজে জায়গা মেলে না বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ টেলিকম সংস্থাগুলির। পাশাপাশি টাওয়ার সহ টেলি-পরিষেবার সার্বিক পরিকাঠামো নির্মাণ শিল্পের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এ নিয়ে স্পষ্ট ও সার্বিক নীতি নেই। পাশাপাশি সরকারি ফি-ও অত্যন্ত চড়া এবং এক এক জায়গায় এক এক রকম হওয়ায় সার্বিক ভাবে বাধা পাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা ও ডিজিটাল কর্মসূচি।
স্পেকট্রামের পাশাপাশি টাওয়ার ও অপটিক্যাল ফাইবার কেব্লের লাইন এই পরিষেবার অন্যতম পরিকাঠামো। পরিকাঠামো গড়তে এককালীন সরকারি ফি-র সঙ্গে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও তা মেরামতের জন্য কিলোমিটার পিছু সরকারি দফতর আলাদা ফি নেয়। টাওয়ার অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডর্স অ্যাসোসিয়েশনের (টাইপা) অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মতো কিছু রাজ্যে নির্দিষ্ট নীতির অভাবে এক এক জায়গায় স্থানীয় পুরসভা ও প্রশাসনের ফি ভিন্ন। কেন্দ্রীয় নীতিতে যে সুপারিশ করা হয়েছিল, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। প্রসঙ্গত, টেলিকম সচিব অরুণা সুন্দররাজনও সম্প্রতি একই দাবি করেছিলেন।
টাইপার ডিজি তিলক রাজের দাবি, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশের মতো যে সব রাজ্যে সার্বিক নীতি রয়েছে এবং ফি-ও কম, সেখানে দ্রুত এই পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে তার গতি বেশ শ্লথ। এর ফলে শুধু টেলিকম পরিষেবাই নয়, তার উপর নির্ভরশীল আরও অনেক পরিষেবার লগ্নিও ধাক্কা খাচ্ছে। রাজ্যও হারাচ্ছে সম্ভাব্য রাজস্ব সূত্র।
নগরোন্নয়ন ও পুর দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্তর অবশ্য দাবি, এককালীন ফি-র সার্বিক নীতি আগেই তৈরি করেছে রাজ্য। বৃহত্তর কলকাতা (কেএমএ) ও তার বাইরের এলাকার জন্য দু’টি পৃথক এককালীন ফি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, টাওয়ার নির্মাণ সংস্থা কোথাও বেশি ফি চাওয়ার ঘটনা তাঁদের জানালে তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
অন্য দিকে, সরকারি সূত্রের খবর, মাটির নীচ দিয়ে কেব্ল নিতে ও সরকারি ভবনে টাওয়ার বসানোর পৃথক মাসুল বেঁধে দিয়েছে পূর্ত দফতর। কলকাতায় কিলোমিটার প্রতি সেই ফি কেন্দ্রের সুপারিশের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও বাকি জায়গায় তা কম।