দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে উৎসাহ দিতে গত বছর এ সংক্রান্ত নীতি এনেছিল কেন্দ্র। একাংশের দাবি ছিল, মূলত আমেরিকার বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থা ইলন মাস্কের টেসলাকে ভারতে টেনে আনতে কিছু সুবিধার ব্যবস্থা করা হল এ ভাবে। সোমবার সেই নীতি অনুসারেই কেন্দ্র জারি করল এই ধরনের গাড়ির নতুন নির্দেশিকা। তাতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থা বিদেশ থেকে বছরে ৮০০০টি বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি করতে পারবে। এর জন্য শুল্ক বসবে মাত্র ১৫%। বর্তমানে যার হার ৭০%-১০০%। তার বদলে সেই সংস্থাকে এ দেশে ন্যূনতম ৪১৫০ কোটি টাকা লগ্নি করে কারখানা তৈরি করতে হবে। শীঘ্রই ১২০ দিনের জন্য এই সুবিধা নিতে আবেদন করা যাবে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তবে একই সঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন, এই সুবিধা দেওয়ার পরেও দেশে কারখানা বানাতে ইচ্ছুক নয় টেসলা। তাই এই সংক্রান্ত আলোচনায় তারা সে ভাবে অংশগ্রহণ করেনি।
মন্ত্রী জানান, টেসলা মূলত দেশে বিপণি খুলে গাড়ি বেচতে আগ্রহী, কারখানা খুলে গাড়ি তৈরি করায় নয়। তবে অন্যান্য প্রথম সারির গাড়ি সংস্থা সেটা করতে চায়। তালিকায় আছে মার্সিডিজ় বেঞ্জ, স্কোডা, বিএমডব্লিউ, হুন্ডাই, কিয়া ইত্যাদি নাম। কুমারস্বামী জানান, বৈদ্যুতিক গাড়ি সংক্রান্ত নতুন নিয়মের জন্য সবক’টি গাড়ি সংস্থাকে ডেকে আলোচনা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু প্রথম ও শেষেরটি ছাড়া আর কোনও বৈঠকে টেসলার প্রতিনিধিরা ছিলেন না। প্রথম বার আলোচনায় তাঁদের মন্তব্য থেকেও স্পষ্ট হয়, টেসলা এখনই কারখানা খুলতে চাইছে না। তবে এই অনাগ্রহের পিছনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা আছে কি না, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি মন্ত্রী।
এ দিকে দেশে ছোট গাড়ি বিক্রির বেহাল দশা সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়েছে মারুতি সুজ়ুকি। তাদের মতে, কেন দেশে ক্রমাগত ছোট গাড়ির (৫ লক্ষ টাকার মধ্যে) বিক্রি কমছে, সমস্যা কোথায় তা সরকারকে খতিয়ে দেখে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। এমনকি আর্থিক বা অন্য সহায়তা প্রয়োজন হলে সেটাও দেওয়া উচিত। কারণ, এই গাড়ির বিক্রি না বাড়লে দেশের গাড়ি শিল্প এগোবে না। এক দশকের কম সময়ে কী করে ছোট গাড়ির বিক্রি এক চতুর্থাংশে নামল, তার কারণ কেন্দ্রের খোঁজা উচিত বলেই মনে করে সংস্থা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)