আগামীকাল, বুধবার দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে শামিল হবে ব্যাঙ্ক শিল্পও। তাদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, এর ফলে ব্যাঙ্কের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকার আশঙ্কা এটিএমেরও।
কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু নীতি এবং পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শ্রমিক সংগঠনগুলি কাল, ৯ জুলাই সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ওই ধর্মঘট অবশ্য গত ২০ মে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার কিছু দিন আগেই কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার কারণে দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কালকের ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক শিল্পের সবক’টি ইউনিয়নই যোগ দেবে বলে খবর। তবে সরাসরি শামিল হচ্ছে সাধারণ কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ এবং বেফি, অফিসারদের ইউনিয়ন এআইবিওএ। বাকি সংগঠনগুলি সমর্থন করবে। যেমন, ব্যাঙ্ক অফিসারদের আর এক সংগঠন আইবক-এর রাজ্য সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় এবং এআইএনবিওএফ-এর সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, “শামিল না হলেও এই ধর্মঘটের প্রতি আমাদের পূর্ণ নৈতিক সমর্থন রয়েছে।’’
এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগরের বার্তা, “পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, কেরল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ব্যাঙ্কের শাখাগুলির ঝাঁপই খুলবে না। অন্য রাজ্যে কোথাও যদি শাখা খোলেও, সাধারণ কর্মী-অফিসারেরা কাজ না করলে কার্যত কোনও পরিষেবাই পাবেন না গ্রাহক। তাই ব্যাঙ্ক কার্যত বন্ধই থাকবে। বন্ধ থাকতে পারে এটিএমের ঝাঁপও।’’
যে সব দাবির ভিত্তিতে ধর্মঘট হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হল কেন্দ্রের নতুন শ্রম আইন বাতিল। সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের অভিযোগ, নয়া শ্রম আইনে কর্মীদের স্বার্থ হানি করে কর্পোরেট সংস্থাগুলির স্বার্থ সিদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যত ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের ধর্মঘট করার অধিকার। ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকদের স্বার্থে পদক্ষেপ করার নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই ধর্মঘট ডেকেছি। নতুন শ্রম আইন তৈরির আগে শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হয়নি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)