সার্বিক ভাবে যাত্রী গাড়ির ব্যবসা বাড়লেও কম দামি ছোটগাড়ি এখনও কাঁটামুক্ত নয়। প্রতীকী ছবি।
ইতিবাচক কিছু আছে। কিন্তু করোনার নেতিবাচক প্রভাব সবটা কাটেনি। তাই কিছু ধরনের গাড়ির চাহিদা বাড়লেও সার্বিক ভাবে গত মাসে দেশের শোরুমগুলি থেকে বিক্রি ২০২০ সালের জানুয়ারির চেয়েও ৮% কমেছে। সোমবার এই হিসাব দিয়ে শোরুমের বিক্রেতাদের (ডিলার) সংগঠন ফাডা জানাল, বিশেষত পিছিয়ে চার চাকার কম দামি ছোট যাত্রী গাড়ি। আর গ্রামীণ অর্থনীতির যে হাল ফেরেনি, তা দেখিয়ে দিচ্ছে দু’চাকার গাড়ির ব্যবসায় ভাটা।
অতিমারিতে গোড়ায় তলিয়ে গেলেও পরে যাত্রিবাহী, তিন চাকা ও বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি বাড়ছিল। কিন্তু সব সময় ধারাবাহিকতা ছিল, এমনও নয়। গত উৎসবের মরসুমে ভাল বিক্রির পরে গাড়ি ও সংস্থা বিক্রেতারা আশায় থাকলেও তা পূরণ হয়নি।
ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়া এ দিন জানান, ২০২২-এর চেয়ে গত জানুয়ারিতে শোরুম থেকে মোট গাড়ি বিক্রি ১৪% বাড়লেও, ২০২০ সালের একই সময়ের চেয়ে ৮% কম ছিল। গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে এ বারে আলাদা ভাবে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু ২০২০ ও ২০২১ সালের জানুয়ারির সঙ্গে তুলনা করলে গত মাসে দু’চাকার বিক্রি কমেছে যথাক্রমে ১৩% ও ৭%। যে হারে গাড়ি কেনার খরচ বেড়েছে, সেই অনুপাতে মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত অর্থের অভাবে গ্রামীণ বাজার ঘুরে দাঁড়ায়নি। আবার সার্বিক ভাবে যাত্রী গাড়ির ব্যবসা বাড়লেও কম দামি ছোটগাড়ি এখনও কাঁটামুক্ত নয়। ফলে চাহিদা বাড়লেও, তার গতি শ্লথ। বস্তুত, বিক্রেতাদের মধ্যে প্রায় ৩৭% বাজার নিয়ে আশাবাদী। প্রায় ১৫% বলছেন তা খারাপ। বাকিরা মত দেননি।
তবে ফাডার আশা, বাজেটের কিছু ইতিবাচক প্রভাব বিক্রিতে পড়বে। চিনের শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় যন্ত্রাংশের জোগান বাড়লে গাড়ির উৎপাদনেও গতি আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy