প্রতীকী চিত্র।
ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো ঋণদাতাদের ধারের টাকা ফেরত পাওয়ার সমস্যা মেটাতে দেউলিয়া বিধিতে একগুচ্ছ বদলে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার মধ্যে ঋণের টাকা ফেরতের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা যেমন বলা হয়েছে, তেমনই দু’মাস বাড়িয়ে ৩৩০ দিন সময় বরাদ্দ করা হয়েছে সংস্থা পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়ার জন্য। তবে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে নতুন সময়সীমার মধ্যেই।
বুধবার মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের দাবি, এই পরিবর্তনের ফলে নিয়মে অনেক বেশি স্বচ্ছতা আসবে। পাশাপাশি, এখন এই সংক্রান্ত যে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলির ক্ষেত্রেও তা কার্যকর হবে। এ দিন কোম্পানি আইনের ৪৩টি প্রস্তাবিত সংশোধনীতে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সরকারি সূত্রের খবর, বকেয়া মেটাতে না পারায় এনসিএলটিতে যাওয়া এসার স্টিল কেনার জন্য ৪২,০০০ কোটি টাকার দরপত্র দিয়েছে আর্সেলর মিত্তল। যা দিয়ে ঋণদাতা ও কর্মীদের টাকা মেটানোর কথা। কিন্তু স্টেট ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের মতো ঋণদাতাদের এতে ক্ষোভ রয়েছে যথেষ্ট। কারণ প্রথমত, এসার স্টিলের ধারের মোট অঙ্ক ৪৯,৪৭৩ কোটি টাকা। তার উপরে ঠিক হয়েছিল যে, সংস্থা বেচে পাওয়া ৪২,০০০ কোটি টাকার মাত্র ৬০.৭% পাবে ব্যাঙ্কগুলি। ফলে ধার দেওয়া অঙ্কের বড় অংশ ছেড়ে দিতে হওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা।
শুধু তা-ই নয়। এই সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে এনসিএলটিতে কড়া নাড়া বিভিন্ন সংস্থার ক্ষেত্রেই। ব্যাঙ্কগুলির অভিযোগ ছিল, অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে যে, ওই সংস্থাকে হয়তো ধার দিয়েছিল একই গোষ্ঠীর অন্য কোনও সংস্থা। ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সমান সুবিধা পাচ্ছিল তারাও। ফলে তার মাসুল গুনে প্রাপ্য থেকে অনেক বেশি টাকা ছেড়ে দিতে হচ্ছিল ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। সেই কারণেই বকেয়া ফেরতের ক্ষেত্রে কর্মীদের পাশাপাশি ব্যাঙ্ককেও অগ্রাধিকারের দাবি জানিয়েছিল তারা।
সরকারি সূত্রের খবর, নিয়ম বদলের এই সিদ্ধান্ত সেই সমস্যাকে মাথায় রেখেই। এর ফলে আগামী দিনে ব্যাঙ্কগুলির ক্ষতি বেশ খানিকটা কমানো সম্ভব হবে বলেও দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy