E-Paper

বড় অঙ্কে রাশ টানার পরামর্শ, তবে দু'লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বর্ণঋণে নিয়ন্ত্রণ চায় না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

সোনা বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের খসড়া নির্দেশিকা খতিয়ে দেখে অর্থ মন্ত্রকের পরামর্শ, বড় অঙ্কের স্বর্ণঋণে রাশ টানা হোক। তাতেই মঙ্গল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ০৭:৪২
একাংশ সুযোগসন্ধানী ঋণদাতা বেআইনি ভাবে ভুল বুঝিয়ে ঋণগ্রহীতাদের বঞ্চিত করছে।

একাংশ সুযোগসন্ধানী ঋণদাতা বেআইনি ভাবে ভুল বুঝিয়ে ঋণগ্রহীতাদের বঞ্চিত করছে। —প্রতীকী চিত্র।

স্বর্ণঋণে লোক ঠকানোর অভিযোগ উঠেছিল। অনেকেরই দাবি, সোনার দাম বাড়তে দেখে বিপাকে পড়া কিছু মানুষ সোনা বন্ধক রেখে ধারের পথে পা বাড়ানোয়, একাংশ সুযোগসন্ধানী ঋণদাতা বেআইনি ভাবে ভুল বুঝিয়ে ঋণগ্রহীতাদের বঞ্চিত করছে। অনেকে ওই সোনা ঠিক মতো ফেরতও দিচ্ছে না। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হওয়ার আগেই তাই তড়িঘড়ি স্বর্ণঋণে কড়া নিয়ন্ত্রণ বিধি ঘোষণা করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে এ বার কেন্দ্র জানাল, ছোট অঙ্কের (২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত) স্বর্ণঋণে নিয়ন্ত্রণ চায় না তারা। সোনা বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের খসড়া নির্দেশিকা খতিয়ে দেখে অর্থ মন্ত্রকের পরামর্শ, বড় অঙ্কের স্বর্ণঋণে রাশ টানা হোক। তাতেই মঙ্গল। ছোট অঙ্কেরগুলি থাকুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, স্বর্ণঋণ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ ও তামিলনাড়ু কৃষক সংগঠনগুলি নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে। তা ফিরে দেখতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখেছেন। বলেছেন, কৃষক সমাজ ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে স্বর্ণঋণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্মলা যেন দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন।

শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রস্তাবিত নির্দেশিকা যদিও স্বাগত জানানোর মতো বলেই মনে করে ঋণদাতা সংস্থাগুলি। আইআইএফএলের আঞ্চলিক কর্তা নিলয় ঘোষ বলেন, এই ঋণের প্রবণতা
দ্রুত বাড়ছে। তাই এত দিন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা না থাকলেও, এ বার জরুরি।

নিলয় বলেন, ‘‘নির্দেশিকায় অন্যতম শর্ত, বন্ধক রাখা সোনার বাজার দরের ৭৫ শতাংশের বেশি ঋণ দেওয়া যাবে না। যিনি ঋণ নেবেন তাঁর আয় সংক্রান্ত নথি ঋণদাতা সংস্থার কাছে জমা দিতে হবে। ধার নেওয়া টাকা কী ভাবে খরচ করা হচ্ছে, নজর রাখতে হবে তাতেও। এতে ঋণের টাকা দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে বেআইনি কার্যকলাপগুলিতে রাশ টানা যাবে।’’

কেন্দ্রের আর্থিক পরিষেবা দফতর অবশ্য বলছে, ছোট অঙ্কের ঋণে আরবিআইয়ের কোনও নির্দেশিকাই যেন প্রযোজ্য না হয়। তাদের পরামর্শ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বর্ণঋণকে নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হোক।

শীর্ষ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা

ঋণ দিতে সোনার মান এবং ওজন পরীক্ষার নির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকতে হবে।

ওই পরীক্ষা চালাতে হবে ঋণের আবেদনকারীর উপস্থিতিতে। পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হবে।

সোনার বাজারদরের ৭৫ শতাংশের বেশি ধার দেওয়া যাবে না।

ঋণের টাকা নিয়ে কী করা হচ্ছে নজরে রাখতে হবে।

গয়না পরীক্ষার প্রক্রিয়া-সহ সব খুঁটিনাটি জানিয়ে সার্টিফিকেট দেবে ঋণদাতা।

ঋণদাতা ও গ্রহীতার চুক্তিতে বন্ধকি সোনার মূল্য, ওজন-সহ সেটির বিশদ তথ্য দিতে হবে ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

RBI Loan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy