উৎসবের সময়ে বিমান ভাড়া লাগাম ছাড়ানো নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি (পিএসি)। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বৈঠকে এই বিষয়টির উত্থাপন করে বিমান সংস্থাগুলির মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করা এবং এই ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন তার সদস্যেরা।
বৈঠকে ছিলেন বিমান মন্ত্রকের সচিব সমীর কুমার সিন্হা-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, নিয়ন্ত্রক ও সংস্থাগুলির ৫২ জন কর্তা। বিমান পরিষেবায় নানা অসমাঞ্জস্য নিয়ে ৯৫টি প্রশ্ন মন্ত্রকের কাছে রাখা হয়। তার উত্তর পিএসি-কে জমা দিয়েছে মন্ত্রক। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ প্রশ্ন তোলেন, ছটে বিহারে বিমানের ভাড়া কেন বাড়ল? বিজেপি সাংসদ কে লক্ষ্মণের দাবি, চেন্নাই থেকে মহাকুম্ভের ভাড়া ১৫,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকায় পৌঁছেছিল। দেওয়ালি, দুর্গাপুজো, বিহু, পোঙ্গলের মতো যে রাজ্যে যে উৎসব হয়, সেখানে তখন বিমান ভাড়া মাত্রা ছাড়ায় বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর বক্তব্য, দেশে চরম মুনাফা নিয়ন্ত্রণ করতে যে ন্যাশনাল প্রফিটিয়ারিং অথরিটি রয়েছে, তারা ঠিকমতো কাজ করছে না। সরকার কেন ‘মুনাফোভোগী’ সংস্থাগুলির উপরে নজর রাখছে না?
সূত্র জানাচ্ছে, সরকার যে বিমান ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করে না এবং সংস্থাগুলিই সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই জানিয়েছে মন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, বিশেষ পরিস্থিতি যেমন অতিমারি বা চাহিদা খুব বাড়লে কেন্দ্র দাম কমাতে উদ্যোগী হতে পারে। যদিও এই বক্তব্যে খুশি নয় পিএসি।
তার উপরে পহেলগামে হামলার সময়ে পিএসি-র বৈঠক ছিল শ্রীনগরে। সে সময়ে বিমান ভাড়া কতটা বেড়েছিল, কমিটির সদস্যেরা দেখেছেন বলে তুলে ধরেন পিএসি-র চেয়ারম্যান কে সি বেণুগোপাল। সিন্হা জানান, পর্যটকদের অধিকাংশই ফেরার টিকিট কেটে রেখেছিলেন। তাই বেশি খালি আসন ছিল না। কতগুলি খালি ছিল, তার হিসাব কমিটিকে দিতে বলেছেন বেণুগোপাল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)