লন্ডনের পথে ডানা মেলতে তৈরি হচ্ছে বিমান। হঠাৎই তেল দিতে বেঁকে বসল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা আইওসি। আলোচনার পরে সেই সমস্যা মিটল। এল জ্বালানি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, জেটের সমস্যা মেটার লক্ষণ কি আদৌ দেখা যাচ্ছে? না কি উত্তরোত্তর তা বেড়েই চলেছে ক্রমশ? আর তা থেকেই জোরালো হচ্ছে জল্পনা। তবে কি জেটের ককপিটে ফিরবেন প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য সরে যাওয়া নরেশ গয়াল? শেয়ার কিনে তাঁর ফেরার পথ প্রশস্ত করতেই কি আসলে সময় দেওয়া হচ্ছে তাঁকে?
হালে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে খাস জেটের অন্দরমহলেও। স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ ঋণদাতারা ১,৫০০ কোটি টাকা দ্রুত লগ্নির আশ্বাস দেওয়ার পরে ১০ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু আদপে এসেছে তার ভগ্নাংশ। তাতে পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের বকেয়া বেতনের একটি অংশ দিয়ে আপাতত শান্ত হয়তো করা হয়েছে। পিছিয়েছে ধর্মঘটের হুমকি। কিন্তু আর কিছু হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, ওই প্রতিশ্রুতি কি তবে স্রেফ ভোট পার করে দেওয়ার কৌশল?
শোনা গিয়েছিল, নতুন বিনিয়োগকারীর খোঁজ চলছে। কিন্তু, শুক্রবার পর্যন্ত কেউ আগ্রহ দেখায়নি। কেউ তার পিছনে ৮ হাজার কোটি টাকা দেনার ছায়া দেখছেন, কেউ বলছেন এক সময়ে দাউদ যোগের কথা। ভারত থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা চালুর সময়ে জেটে হিসেব বহির্ভূত টাকা আসার অভিযোগ উঠেছিল। দাউদ ইব্রাহিমের নাম উঠেছিল সেই সময়েই। বিভিন্ন সূত্রে খবর, নতুন লগ্নিকারী পাওয়ার পথে তা-ও বড় বাধা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আর এখানেই উঠছে গয়ালের নাম। সংস্থার পর্ষদ থেকে সম্প্রতি তিনি সরে গেলেও, শেয়ার কিনে ফেরার রাস্তা খোলা তাঁর জন্য। ঋণদাতাদের লগ্নির ঢিলেমি দেখে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি শেয়ার কিনতে টাকা জোগাড়ের সময় দেওয়া হচ্ছে গয়ালকে? বিশেষত যেখানে তাঁর প্রত্যাবর্তন চাইছেন কর্মী-অফিসারদের বড় অংশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy