E-Paper

স্পেকট্রাম কী ভাবে ফেরত, প্রশ্ন কমিটির

ইনফোটেল ২০১১ সালে দেশে ২২টি সার্কলেই ৪জি প্রযুক্তি চালুর জন্য স্পেকট্রাম পেয়েছিল। পরে সংস্থাটিকে অধিগ্রহণ করে রিলায়্যান্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ০৮:৫০
স্পেকট্রাম ছেড়ে দেওয়ার জেরে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

স্পেকট্রাম ছেড়ে দেওয়ার জেরে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

টেলিকম সংস্থা নিলামে পাওয়া স্পেকট্রাম ছেড়ে দেওয়ার জেরে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারাল (সিএজি)। সেই রিপোর্ট তুলে ধরে ২০২২ সালের আগে দেশে নিলামে জেতা স্পেকট্রাম ছেড়ে দেওয়ার কী নিয়ম ছিল, তা টেলিকম দফতরের কাছে জানতে চাইল বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি। ২০১৫ সালে সিএজি-র এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল। যেখানে বলা হয়, ২০০১ সালের স্পেকট্রাম নিলামে যে সব সংস্থা অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার জন্য আলাদা লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। যার ফলে তৎকালীন মেসার্স ইনফোটেল (বর্তমানে রিলায়্যান্স জিয়ো) স্পেকট্রাম নিলামে জেতার পরে ভয়েজ কলের জন্য তাদের হাতে যে লাইসেন্স ছিল, সেটা দিয়েই নেটওয়ার্ক কোড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল। ফলে কেন্দ্রের রাজস্ব ক্ষতি হয় প্রায় ৩৩৬৭ কোটি টাকা।

ইনফোটেল ২০১১ সালে দেশে ২২টি সার্কলেই ৪জি প্রযুক্তি চালুর জন্য স্পেকট্রাম পেয়েছিল। পরে সংস্থাটিকে অধিগ্রহণ করে রিলায়্যান্স। সংসদীয় কমিটির দাবি, সেই সুবাদে ২০০১ সালের স্পেকট্রাম খরচের হিসেবেই পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ পায় জিয়ো। সেই সময় সংশ্লিষ্ট পরিষেবা দেওয়ার জন্য লাইসেন্স ফি নেওয়া হয়নি। ফলে বিপুল রাজস্ব হারায় সরকার। তার উপরে ব্রডব্যান্ড ওয়ারল্যাস অ্যাক্সেস পরিষেবা দেওয়ার ছাড়পত্র পাওয়ার প্রায় চার বছর পরেও সে ভাবে পরিষেবা চালু করতে পারেনি সংস্থা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Telecom Reliance

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy