আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় চালে শুল্ক বাড়ানোর হুমকির মধ্যেই গত সপ্তাহে সে দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা সেরেছে কেন্দ্র। সোমবার বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়ালের দাবি, শীঘ্রই সেই চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত করবে দু’দেশ। তবে তার আগে অন্তর্বর্তী চুক্তিতে ভারতীয় পণ্যে পাল্টা ২৫% শুল্ক কমিয়ে আনা এবং রাশিয়ার তেল কেনার জন্য চাপানো ২৫% শুল্ক তোলা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই সরকারি ভাবে ছ’টি বৈঠক সেরেছে দু’দেশ। সচিবের বার্তা, আগামী দিনে সব বৈঠক আনুষ্ঠানিক না-ও হতে পারে। বরং সময়মতো চলতে থাকবে কথা।
এ দিন সরকারি পরিসংখ্যানে প্রকাশ, গত মাসে ভারতের রফতানি ১৯ শতাংশের বেশি বেড়ে হয়েছে ৩৮১৩ কোটি ডলার। আমেরিকাতেও বেড়েছে প্রায় ২২.৬%। সেখানে গিয়েছে ৬৯৮ কোটি ডলারের পণ্য। দেশে সার্বিক আমদানি নেমেছে ৬২৬৬ কোটিতে। বাণিজ্য ঘাটতি (২৪৫৩ কোটি) হয়েছে পাঁচ মাসে সর্বনিম্ন। আগরওয়ালের দাবি, শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিকারীদের সরকার সুরাহা দিচ্ছে। বিকল্প বাজার, দ্রুত রফতানি প্রকল্প চালু এবং ঋণের কিস্তিতে স্থগিতাদেশ-সহ কিছু ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবে তিনি মেনেছেন পুরো ক্ষতি মেটানো অসম্ভব।
বরং সচিবের দাবি, রফতানি এতটা বৃদ্ধির কারণ চুক্তির মান্যতা রক্ষায় একাংশের ক্ষতি গুনেও পণ্য পাঠানো। রফতানির পণ্য দেশে বিক্রি করে ক্ষতি। যদিও চালে শুল্ক প্রসঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘‘আমেরিকায় ভারতের পাঠানো চালের প্রায় ৮০% বাসমতী। যার জিআই তকমা রয়েছে। দামও বেশি। ফলে উৎপাদন খরচের থেকে কম দামে রফতানির প্রশ্ন ওঠে না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)