তবে হ্যাঁ, এই অ্যাকাউন্টের গ্রাহকের অন্য কোনও সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা চলবে না। যদি গ্রাহকের কাছে অন্য একটি সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে, তা হলে বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট (বিএসবিডি) অ্যাকাউন্ট খোলার ৩০ দিনের মধ্যে পুরনো অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করতে হবে। অনেক ব্যাঙ্ক এটাও জানিয়েছে যে, যদি তারা এই গ্রাহকের অন্য সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে জানতে পারেন, তা হলে অবিলম্বে বিএসবিডি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করবার পদক্ষেপ নেবেন।
আরও পড়ুন:
পুরসভার আয় কম কেন, খোঁজ বিদায় লগ্নে
কর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক, চাকরি গেল ইনটেল সিইও-র
একটি বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট (বিএসবিডি) অ্যাকাউন্ট সিঙ্গল বা একক ভাবে চালানো যায় বা যৌথ ভাবে চালাতে পারেন। 'আইদার অর সারভাইভর', 'ফরমার অর সারভাইভর', 'এনিওয়ান অর সারভাইভর' ইত্যাদি সুবিধায় এই অ্যাকাউন্ট শুরু করা যায়। এই অ্যাকাউন্ট যে কোনও ব্যাঙ্কের শাখা খোলা যেতে পারে।
সুদ- এ রকম সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুললে সুদ পাওয়া যাবে। দৈনিক অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স যদি ৫০ লাখ টাকার নীচে হয়, তা হলে পাবেন ৩.৫% সুদ। দৈনিক অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স যদি ৫০ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে পাবেন ৪% সুদ।
সুবিধা না অসুবিধা
বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট (বিএসবিডি) অ্যাকাউন্টের একটা বিরাট সুবিধা হল কোনও মিনিমাম ব্যালান্স বা নুন্যতম জমা টাকা রাখার ঝামেলা নেই। অন্য দিকে, এখানে যত ইচ্ছে টাকা রাখতে পারেন।
বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট অ্যাকাউন্টটিকে স্বাভাবিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
ফ্রি কার্ড– এ ক্ষেত্রে একটি বেসিক আরইউপে এটিএম কাম ডেবিট কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ডটি বিনামুল্যে দেওয়া হবে অ্যাকাউন্ট মালিককে। তা ছাড়া, এই কার্ডের জন্য কোনও বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ প্রয়োগ করা হবে না। সাধারণত অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে এটিএম কাম ডেবিট কার্ডে ১০০-৫০০ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া ফ্রি চেকবুক পাতা (১০-২০টা) দেওয়া হবে এবং সেটা নিতে হবে গ্রাহকের ব্রাঞ্চ থেকে, এমন বলছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক।
কোনও বিশাল চার্জ নেই- বিএসবিডি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেতেরেই চার্জ দিতে হয় না—
১। এনইএফটি/আরটিজিএস-এর মতো ইলেকট্রনিক পেমেন্ট চ্যানেলগুলির মাধ্যমে অর্থের প্রাপ্তি/অর্থ জমা করা যাবে বিনামূল্যে। এটা অন্য কোনও সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে করলে টাকা পাঠানোর সময় প্রত্যেক বার টাকা দিতে হতে পারে।
২। বিএসবিডি অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয়/রাজ্য সরকার দ্বারা দেওয়া চেকগুলি জমা/সংগ্রহ করার জন্যে কোনও চার্জ লাগবে না।
৩। নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট আবার চালু করার কোনও চার্জ নেই।
৪। বিএসবিডি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্যে কোনও আলাদা চার্জ নেই।
কিছু ব্যাঙ্ক নিজেদের তরফ থেকে নানান সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিএসবিডি অ্যাকাউন্টে।
যেমন, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে তাঁরা বিএসবিডি অ্যাকাউন্ট গ্রাহকদের একটি আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। এ ছাড়া, একটি ব্যাঙ্ক লকার ব্যবহার করবার সুযোগ দিচ্ছে।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ১ লাখ টাকার দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বিমার সুযোগ দিচ্ছে সব অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে কোনও অতিরিক্ত চার্জ বা প্রিমিয়াম না নিয়ে।
এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন নমিনি হিসাবে একজনের নাম দেওয়া যাবে। যদি আপনি দু’জন নমিনি করতে চান, সেটা হবে না।
এ ছাড়া সর্বাধিক চার বার টাকা নেওয়া যাবে, এমন বলছে এসবিআই ওয়েবসাইট। এই চারবার টাকা তোলার মধ্যে নিজের ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা বার করা, বা এনইএফটি/আরটিজিএস/ক্লিয়ারিং/ব্রাঞ্চ থেকে নগদ তোলা/ইন্টারনেটে ডেবিট বা কোনও ইএমআই সব কিছু ধরা হবে। এক মাসের মধ্যে গ্রাহককে আর কোনও ডেবিট করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
যদি আপনি চার বারের বেশি টাকা তুলে ফেলেন, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক বলছে যে, তা হলে বিএসবিডি অ্যাকাউন্টটিকে রেগুলার সেভিংস অ্যাকাউন্টে পরিবর্তন করা হবে।
ভাগ্যক্রমে, টাকা ব্যাঙ্কে রাখার ব্যাপারে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। আপনি চাইলে একটি মাসের মধ্যে অসংখ্য বার ডিপোজিট করতে পারেন।
তবে বিএসবিডি অ্যাকাউন্টে কেউ বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে, সেই টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে এমন জানিয়েছে এই ব্যাঙ্কগুলি।