E-Paper

তলানিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি, ‘অনিশ্চিত লগ্নির পরিবেশ’ নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের

হঠাৎ কেন্দ্রের উপদেষ্টা, নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, এ দেশ জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ০৬:৪৪
জয়রাম রমেশ।

জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি (এফডিআই) নজিরবিহীন তলানিতে নামায় উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। তারই মধ্যে হঠাৎ কেন্দ্রের উপদেষ্টা, নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, এ দেশ জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে গিয়েছে। যার বহর ৪ লক্ষ কোটি ডলার। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যি অর্থনীতি এমন উন্নতি করে থাকলে বিদেশি সংস্থাগুলি মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে কেন? তাদের তো উল্টে আরও বেশি করে লগ্নি করার কথা?

মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, আসলে ভারতে লগ্নির পরিবেশ চূড়ান্ত অনিশ্চিত। গত অর্থবর্ষে নিট হিসেবে এফডিআইয়ের ৯৬% কমে যাওয়া তারই প্রতিফলন। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্যই বলেছে, ২০২৩-২৪ সালে যেখানে এফডিআই এসেছিল ১০১০ কোটি ডলার, সেখানে গত অর্থবর্ষে অভূতপূর্ব হারে কমে তা ৪০ কোটিতে নেমেছে। যা সর্বনিম্ন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, অর্থনীতির অবস্থা সঙ্গিন, এতে সেটা ফের স্পষ্ট হল। কিন্তু কেন্দ্র স্বীকার করছে না।

শীর্য ব্যাঙ্কের দাবি, এফডিআই কমার কারণ দেশীয় সংস্থাগুলির বিদেশে ব্যবসা বৃদ্ধি ও বিদেশি সংস্থাগুলির লগ্নি করা মূলধন নিজের দেশে ফেরানোর ঝোঁক। মোট হিসাবে এফডিআই ১৩.৭% বেড়ে হয়েছে ৮১০০ কোটি ডলার। এটা অর্থনীতির পরিণত হওয়ারই লক্ষণ। তবে এক্স-এ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের অভিযোগ, আসলে ভারতের লগ্নি জগতে অনিশ্চয়তায় কেউ এখানে পুঁজি ঢালতে উৎসাহীই হচ্ছে না। ২০২২-২৩ সালে এই লগ্নি ছিল ২৮০০ কোটি ডলার। তার পর থেকে নিট হিসাবে কমছে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের দাবি, ‘‘নিট এফডিআই নিয়ে বিরোধীদের মনোভাব বিভ্রান্তিমূলক। তাদের অজ্ঞতাও প্রমাণ করছে। কিংবা সত্যিটা ইচ্ছে করে বিকৃত করা হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Economy Jairam Ramesh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy