গত মাসে খুচরো বাজারে তলানিতে (০.২৫%) নেমেছে মূল্যবৃদ্ধির হার। শুক্রবার কেন্দ্রের পরিসংখ্যান জানাল, পাইকারি বাজারেও দাম কমার গতি বেড়েছে। অক্টোবরে মূল্য-হ্রাস দাঁড়িয়েছে ১.২১%। ২৭ মাসে সবচেয়ে কম। ডাল এবং আনাজের মূল্য-হ্রাস হয়েছে। জ্বালানি, কারখানায় তৈরি পণ্যও মিলছে আগের থেকে কম দামে। গত সেপ্টেম্বরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ০.১৩%। গত বছরের অক্টোবরে ২.৭৫%। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত বারের নিরিখেই হিসাব কষা হয়েছে। ফলে সে বারের উঁচু ভিতের উপর দাঁড়িয়ে হিসাবের সুবিধাও মিলেছে। গত মাসে সেখানে খাদ্যপণ্যের মূল্য-হ্রাসের হার দাঁড়ায় ৮.৩১%। সেপ্টেম্বরে ছিল ৫.২২%।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, ‘‘পাইকারি মূল্যসূচক ২৭ মাসের তলানিতে। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হারও কয়েক মাসের নীচে। তবে বাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে মানুষ যা ব্যবহার করেন, তার দামে সরকারি হিসাবের প্রতিফলন নেই। এটা বিরাট রহস্য। তবে এটাও ঠিক, ওই দুই সূচক মাপা হয় এমন কিছু পণ্যের দামের ভিত্তিতে, যা আমজনতা নিয়মিত ব্যবহার করেন না। ফলে বাস্তবের ছবিটাও ধরে পড়ে না।’’ সরকারের অবশ্য দাবি, মূল্যবৃদ্ধি কমার বিষয়টি প্রত্যাশিত ছিল। কারণ, বহু পণ্যে জিএসটির হার কমায় দাম কমেছে।
পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকও বলছেন, ‘‘খুচরো এবং পাইকারি, দু’টি বাজারেরই প্রধান জ্বালানি বর্তমানে দেশে জিএসটির হার কমার কারণে বেশ কিছু জিনিসের দাম কমে আসা এবং সস্তা হওয়া খাদ্যপণ্য। তবে এই বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। যতদিন সেটা রয়েছে, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারও কম থাকবে। কিন্তু বিশ্ব বাজারের যা পরিস্থিতি, তাতে হঠাৎ তা ফের চড়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)