ভারতের তৈরি ওষুধের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নানা দেশ। তাই আগামী এক বছর সমস্ত ওষুধ সংস্থাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বেঁধে দেওয়া মাপকাঠি মেনে উৎপাদন করতে হবে বলে জানাল কেন্দ্র।
চলতি বছরেই ভারতের পাঠানো কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ার ৬৬টি শিশু মারা যায়। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এ দেশের ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রফতানির বাজারে ধাক্কা খায় দেশীয় ওষুধ সংস্থাগুলি। তাই তৎপর কেন্দ্র। ওষুধ তৈরিতে যাতে হু-র মানদণ্ড মানা হয় তা নিশ্চিত করতে চাইছে তারা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া জানান, ‘‘যে সব ওষুধ সংস্থার ব্যবসার পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকার কম তাদের এক বছরের মধ্যে নিজেদের পরিকাঠামো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। ব্যবসা ২৫০ কোটি টাকার বেশি হলে সে জন্য ছ’মাস সময় দেওয়া হচ্ছে।’’ লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে লোকসভার পরে আজ রাজ্যসভায় পাশ হয় জনবিশ্বাস বিল। একাধিক আইন সংশোধনের লক্ষ্যে তা আনা হয়েছে। এতে ছোটখাটো অপরাধে কারাদণ্ডের ব্যবস্থা তুলে দিয়ে শুধু জরিমানার শাস্তি রাখা হয়েছে। কিন্তু এর ফলে নকল ওষুধ বিক্রিতে সাজা কমে যাবে। আদালতের বাইরে জরিমানা দিয়ে মিটমাটের সুযোগ মিলবে। বিরোধীদের অভিযোগ, এতে ওষুধে ভেজালের প্রবণতা বাড়বে, জনস্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা হবে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, কোনও সংস্থা এক বা দু’বার অন্যায্য কাজ করলে জরিমানা দিয়ে মুক্তি পাবে ঠিকই। কিন্তু অভিযোগের পুনরাবৃত্তি হলে অতীতের মতোই কড়া সাজার ব্যবস্থা থাকছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)