ফাইল চিত্র।
দেশের জোগানে টান পড়ায় কেন্দ্রের কয়লা আমদানির নির্দেশ ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। আমদানির কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাড়াবে দাবি করে আপত্তি তুলেছে অনেক সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে দেশে কয়লা এবং বিদ্যুতের জোগান সঙ্কটের দায় আগের ইউপিএ সরকারের দিকে ঠেলে দিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিংহ। তাঁর দাবি, চাহিদা বাড়ছে ঠিকই। কিন্তু আমদানির বাড়তি খরচ সামলাতে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৬০-৮০ পয়সা করে বাড়তে পারে। দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য বণ্টন সংস্থাগুলির লোকসান কমানোর পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। বলেন, সে জন্যই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জোগানের সব খরচের সমান হওয়া দরকার মাসুল। না হলে অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তেই হবে।
ডিভিসি-র ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছিলেন সিংহ। সেখানেই ডিভিসির ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি দাবি করেন, মোদী সরকারের আমলে দেশে বিদ্যুৎ পরিষেবার প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। গত এক বছরে তার ব্যবহার ২৫% বেড়েছে। ১৫% বেড়েছেসর্বোচ্চ চাহিদা।
ওই সভায় এবং পরে মন্ত্রী জানান, কয়লার সঙ্কট সামলাতে আমদানি করতেই হচ্ছে। কিন্তু তাতে খরচ দেশের কয়লার চেয়ে টন প্রতি প্রায় ন’গুণ বেশি। তবে তাঁর দাবি, দেশীয়র সঙ্গে আমদানি করা কয়লা মেশানোর চল নতুন কিছু নয়। দশ বছর আগে তা অনেক বেশি হত। এ বারে চাহিদা বাড়ায় সমস্যা হয়েছে। কারণ আগের সরকারের জটিল নীতির জন্য বিভিন্ন ছাড়পত্র নিয়ে খনি থেকে কয়লা তোলা শুরু হতে তিন বছরেরও বেশি সময় লাগে। তাঁরা জটিলতা কমাতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু আপাতত আমদানি করা কয়লা মেশানোর কারণে বিদ্যুতের খরচ ইউনিট প্রতি ৬০-৮০ পয়সা বাড়বে। ফলে বাড়বেবিদ্যুতের দামও।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, বণ্টন সংস্থাগুলির লোকসান বাড়লে তারা বিদ্যুৎ কিনতে পারবে না। তাই বিদ্যুতের খরচ মাসুলের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। গ্রাহক স্বার্থে চাইলে অবশ্য রাজ্যগুলি ভর্তুকি দিতে পারে, মত তাঁর।
সভায় ডিভিসি-কে নির্দিষ্ট এলাকার গণ্ডি ছেড়ে জাতীয় স্তরের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টন সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার বার্তা দেন সিংহ কয়লা জোগানের সঙ্কট মেটাতে কয়লা খনি এলাকার যেখানে ডিভিসি-র জমি রয়েছে, সেখানে উৎপাদন কেন্দ্রও গড়তে বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy