প্রতীকী ছবি।
চাল রাখতে এ বছর ১ লক্ষ ২০ হাজার বেল চটের বস্তা কিনতে চলেছে রাজ্যের খাদ্য দফতর। সূত্রের খবর, এরই মধ্যে জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (জেসিআই) ৮০,০০০ বেল বস্তার বরাত দিয়ে দিয়েছে রাজ্য। নতুন চটের বস্তা কেনার জন্য রাজ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে কমপক্ষে ২৫০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য পাবে।
গত বছর থেকেই রাজ্য সরকার নিজেদের উদ্যোগে চটের বস্তা কেনা শুরু করে। তার আগে চালকল মালিকরাই চটের বস্তা কিনতেন। কিন্তু সেই বস্তার মান নিয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ আসছিল। বহু ক্ষেত্রে পুরনো বস্তা কেনা হয়েছিল বলে কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকাও আটকে রাখে। যে কারণে বস্ত্র মন্ত্রক দীর্ঘদিন ধরেই চটকল শ্রমিক ও কৃষকদের স্বার্থে মিলগুলি থেকে সরাসরি বস্তা কেনার চাপ দিয়ে আসছিল। গত বছর ৮০,০০০ বেলের কিছু বেশি চটের বস্তা কেনার পর এ বছর জেসিআইয়ের মাধ্যমে ফের বস্তার বরাত দিল খাদ্য দফতর। প্রয়োজনে আরও বস্তাও কেনা হবে।
এ বছর রাজ্য সরকার ৪৬ লক্ষ টন ধান কিনবে বলে ঠিক করেছে। দফতর সূত্রের খবর, ১ নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ২৩ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েও গিয়েছে। এর পাশাপাশি, চালকলগুলিতেও নতুন চটের বস্তার জোগানও দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে চালের মানও ভাল থাকবে। পাশাপাশি এর জন্য কেন্দ্রের টাকাও পাওয়া যাবে।
চটের বস্তা কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র বছরে কম-বেশি ৬,৫০০ কোটি টাকা খরচ করে। এই বস্তার ৯০ শতাংশই জোগান দেয় চটকলগুলি। কৃষি প্রধান রাজ্যগুলি বস্তা কিনলে, মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়।
চটকল বন্ধ: শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি-সহ অন্যান্য পাওনা নিয়ে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যেই শনিবার দুপুরে তালা পড়ল ভাটপাড়ার রিলায়্যান্স জুট মিলে। অভিযোগ, শনিবার সকালে ভাটপাড়ার চটকলের এক দল শ্রমিক বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মিলের মধ্যে আন্দোলন শুরু করেন। বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। তার পরেই মিল কর্তৃপক্ষ গেটের বাইরে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝুলিয়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy