পরিবেশ দূষণহীন করার উপরে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দিল রাজ্য সরকার। অপ্রচলিত বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি জানালেন, লক্ষ্য পূরণ করতে দু’টি পথে এগোচ্ছেন তাঁরা। এক দিকে দ্রুত এই ধরনের বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো, অন্য দিকে দ্রুত বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামো তৈরিতে জোর দেওয়া। বুধবার পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটেও রাজ্যের তরফে এই ক্ষেত্রে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের এক অনুষ্ঠানে রব্বানি জানান, ২০৩০-এর মধ্যে অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্র থেকে রাজ্যের মোট চাহিদার ২০% বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বরুণ রায় জানিয়েছেন, কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সব পাম্পও সৌর বিদ্যুতে চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিকল্প বিদ্যুৎ দিয়েই করা হবে সেচের বাকি কাজ।
জৈব জ্বালানির ব্যবহার কমাতে রাজ্যে আরও বেশি করে বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামো গড়ায় জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী এবং সচিব। বলেন, ‘‘রাজ্যে বিভিন্ন সড়কের পাশে এই গাড়ি চার্জ দেওয়ার সুবিধা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর জন্য একাধিক প্রথম সারির সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে সরকারের।’’ বরুণ জানান, আগামী এক বছরের মধ্যে এই পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন হবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ দফতরের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১.২৫ লক্ষের বেশি এই ধরনের পরিবেশবান্ধব গাড়ি সরকারি খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে। নাম উঠেছে প্রায় ৩৫০০ সিএনজি (প্রাকৃতিক গ্যাস) চালিত গাড়িরও। এতেই স্পষ্ট, রাজ্য সরকার দূষণহীন গাড়ি ব্যবহারে কতটা উৎসাহ দিচ্ছে। যে কারণে ইতিমধ্যেই ৮৪টি চার্জিং স্টেশনও তৈরি করা হয়েছে। চন্দ্রিমা করেছেন, গাড়ির দ্বারা পরিবেশ দূষণের মাত্রা যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা চলছে। তাই সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দূষণ মাপার যন্ত্রও বসানো হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)