চলতি মাসেই বৈঠকে বসতে চলছে পণ্য পরিষেবা কর পরিষদ বা জিএসটি কাউন্সিল। সূত্রের ইঙ্গিত, জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের উপরে এ বার জিএসটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে একাংশ মনে করছে, কর পুরোটা তুলে না নিয়ে কমানো হতে পারে তার হার। কিংবা একাংশকে ছাড় দেওয়া হতে পারে।
এর আগে পরিষদের গত ডিসেম্বরের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও, চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সুপারিশকারী মন্ত্রিগোষ্ঠীকে বলা হয়েছিল, বিমায় কর তুলে নেওয়া হলে বা তার হার কমানো হলে রাজকোষে কী প্রভাব পড়বে, করের হার কত হওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখে পরিষদকে রিপোর্ট জমা দেবে তারা। ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত সুপারিশ জমা পড়েছে।
বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়ার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে সরব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ। বিরোধীদের অভিযোগ, একেই বিমা সংস্থাগুলি প্রিমিয়াম বিপুল বাড়িয়েছে। তার উপর জিএসটি এই সুরক্ষার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই বানচাল করছে। বহু সাধারণ মানুষকে চিকিৎসার বাড়তে থাকা খরচের হাত থেকে সুরাহা দেওয়া লক্ষ্য হলেও, আদতে প্রিমিয়াম গুনতে না পেরে প্রকল্পই ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে। এ নিয়ে মোদী সরকারকে বহু বার বিঁধেছে তারা। তবে সরকারির সূত্রের দাবি, বর্তমানে বিমার উপর থেকে কর তুলে নিলে মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাতে হবে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে। তাই শেষ পর্যন্ত কী করা হবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকে মনে করছেন কর পুরোপুরি তুলে না নিয়ে কমানো হতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, স্বাস্থ্য বিমায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়ামকে করমুক্ত করা হতে পারে। বাকি অংশে জিএসটি থাকবে ১৮%।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)