প্রতীকী ছবি।
শহুরে জীবনের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে এ বার স্টার্ট-আপের হাত ধরতে চাইছে রাজ্য। গাড়ি পার্কিং থেকে শুরু করে বৃষ্টির জল ধরা— যে সমস্ত সমস্যা ও বিষয় নাগরিক জীবনে রোজ ঘুরেফিরে আসে, সেগুলি নিয়ে নতুন ভাবনা পরীক্ষামূলক ভাবে (পাইলট প্রোজেক্ট) বাস্তবে কার্যকর করার সুযোগ দিতে প্রথমে ১৫টি স্টার্ট-আপকে বেছে নিয়েছে তারা।
স্টার্ট-আপ দুনিয়ার মেধা কাজে লাগিয়ে নাগরিক জীবনের সমস্যা সমাধানের এই উদ্যোগ তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের। এ জন্য ‘হ্যাকাথন’ নামে এক প্রতিযোগিতায় বেছে নেওয়া হয়েছে ১৫টি সংস্থাকে। সময় দেওয়া হয়েছে এক মাস। চ্যালেঞ্জ, তার মধ্যেই বাস্তবোপযোগী উদ্ভাবনী সমাধানসূত্র খুঁজে বার করা।
সরকারি সূত্রে খবর, প্রথমে সমাধান খোঁজা হচ্ছে সেক্টর ফাইভের সমস্যার। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রাণকেন্দ্রের ৫টি সমস্যার সমাধান করার দায়িত্ব আপাতত বর্তেছে ওই ১৫টি সংস্থার উপরে। যার মধ্যে রয়েছে গাড়ি পার্কিং, ট্রাফিকের গতি ও বিপর্যয়, কঠিন বর্জ্য, বৃষ্টির জল ধরার অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের উপদেষ্টা স্বরূপ রায়ের আশা, নতুন প্রজন্মের ওই সংস্থাগুলির কাছ থেকেই খোঁজ মিলবে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির। যার হাত ধরে সেক্টর ফাইভের নিত্যদিনের সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে।
পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের উপর নির্ভর করছে অন্যান্য সরকারি কাজে বিভিন্ন স্টার্ট-আপের তৈরি প্রযুক্তি ব্যবহারের ভাবনা। যে ৫ সমস্যা সেক্টর ফাইভে চিহ্নিত হয়েছে, অন্যান্য শহরাঞ্চলও তাতে নাজেহাল। পরীক্ষামূলক প্রকল্প সফল হলে অন্যান্য পুরসভাও একই পথে হাঁটতে পারে। সে ক্ষেত্রে সমাধান পেতে সরকারের যেমন সুবিধা হবে, তেমনই নতুন বাজার খুলবে স্টার্ট-আপের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy