পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে আটারি চেকপোস্ট বন্ধ করেছে ভারত। পাকিস্তানও পাল্টা স্থগিত করেছে দু’দেশের বাণিজ্য সংক্রান্ত সমস্ত চুক্তি। এর জেরে কি দুই দেশের মধ্যে পণ্যের আমদানি-রফতানি থমকাবে? বাণিজ্য পরামর্শদাতা সংস্থা জিটিআরআই-এর বক্তব্য, প্রত্যেক বছর এ দেশ থেকে প্রায় ১০০০ কোটি ডলারের পণ্য তৃতীয় দেশের বন্দর হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছয়। কৌশলে টপকে যায় বাণিজ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। এই বাণিজ্যকে শূন্যে নামিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব জানাচ্ছেন, ভারতীয় সংস্থাগুলি প্রথমে দুবাই, সিঙ্গাপুর, কলম্বোর মতো কয়েকটি বন্দরে পণ্য পাঠায়। সেখানে সেগুলির দায়িত্ব নেয় সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বিভিন্ন স্বাধীন সংস্থা। তার পরে প্রয়োজনে পণ্যের প্রকৃতি বদল করে ও মোড়ক পাল্টে পাঠানো হয় অন্য দেশে। নতুন মোড়কে ভৌগোলিক উৎস হিসেবে ভারতের নাম থাকে না। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা বাধা পার করে এই পদ্ধতিতে পণ্য লেনদেনে ধূসর দিক আছে ঠিকই, কিন্তু তা বেআইনি নয়। বাণিজ্যের শর্ত বদল হলেও উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে রফতানিকারীরা যে ভাবে লেনদেন মসৃণ রাখে, সেই গতির সঙ্গে তাল মেলানো কেন্দ্রের পক্ষেও শক্ত। এ ভাবে প্রতি বছর ভারত থেকে প্রায় ১০০০ ডলারের পণ্য পাকিস্তানে যায়।
২০১৯-এ পুলওয়ামা হামলার পর দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধাক্কা খায়। কমতে থাকে আমদানি-রফতানি। গত এপ্রিল-জানুয়ারি পাকিস্তানে ৪৪.৭৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। আমদানির অঙ্ক ছিল মাত্র ৪.২ লক্ষ ডলার। এই প্রত্যক্ষ বাণিজ্য বন্ধ হলেও ঘুরপথে তা আটকানো মুশকিল বলেই মত জিটিআরআই-এর।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)