—ফাইল চিত্র।
গাড়ি, বাড়ি, টিভি, ফ্রিজ-সহ প্রায় সব কিছু কিনতেই ব্যাঙ্ক ঋণ মেলে। কিন্তু পাওয়া যায় না সোনার গয়না কেনার জন্য। গয়নার চাহিদাকে টেনে তুলতে তাই অর্থমন্ত্রীর কাছে এ ক্ষেত্রেও ঋণ মঞ্জুরের দরবার করলেন ব্যবসায়ীরা। দেশে সোনার আমদানি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে যে ঋণ দেওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।
এমনিতেই বাজারে বিক্রিবাটায় ভাটার টান। তার উপরে সোনার দাম (১০ গ্রামের) ৪০ হাজার টাকা ছাড়ানোয় গয়নার দোকানেও ক্রেতার আনাগোনা কমেছে। আসন্ন উৎসবের মরসুমে ব্যবসায় প্রাণ ফেরাতে তাই অর্থমন্ত্রীর কাছে একাধিক আর্জি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার মধ্যে চাহিদা বাড়াতে গয়না কেনায় ধারের সুবিধা চালুর পাশাপাশি আছে দাম কমাতে সোনায় ৩% জিএসটি কমিয়ে ফের ১% করার কথাও। জিএসটি চালুর আগে ভ্যাট হিসেবে যে হারে কর দিতে হত তাঁদের। স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে-র দাবি, ‘‘সোনার দাম বাড়ায় গয়না ব্যবসা তলানিতে ঠেকেছে। চাহিদা উধাও। উপায়ন্তর না দেখেই অর্থমন্ত্রীর সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছি।’’
অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেনের মতে, ‘‘গয়না তৈরিতে ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক। অথচ সেগুলির ক্রেতাদের দেয় না। এটা পরস্পর বিরোধী সিদ্ধান্ত। যুক্তিহীন।’’
গয়না শিল্পের অভিযোগ, এ রাজ্যে ১ কোটি মানুষ জড়িত এখানে। দেশে প্রায় ৮ কোটি। সকলেরই রুজিতে টান পড়েছে। কারিগরেরা কাজ হারাচ্ছেন। ব্যবসা না বাড়লে অন্যান্য শিল্পের মতো গয়নার দোকানেও ছাঁটাই হবে। তবে কেন্দ্র চাইলে সেই ছবি বদলাতে পারে।
সমস্যা সোনায় আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিও। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান প্রকাশ পিন্চা বলেন, ‘‘শুল্ক ২% থাকার সময় চোরা কারবার কম হত। ১২.৫০% হওয়ায় তা বেড়েছে। ফলে কেন্দ্র শুল্ক হারাচ্ছে। সৎ ব্যবসায়ীরা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছেন। কারণ, চোরা পথে ১০ গ্রাম সোনা ২,৪০০-২,৮০০ টাকা কম। এটা কেন্দ্রের ভেবে দেখা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy