চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে নতুন টেলিকম আইন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন টেলিকম সচিব নীরজ মিত্তল। বিভিন্ন মহলের খবর, সেই আইনে খর্ব হতে পারে নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের ক্ষমতা। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করেই যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সেই প্রস্তাব করেছে টেলিকম বিভাগ (ডট)। সেখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল। তাদের প্রশ্ন, নিয়ন্ত্রক হিসেবে ট্রাইয়ের সর্বজনগ্রাহ্য ভূমিকা কি খর্ব হতে চলেছে?
টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল এস পি কোছর বলেন, ‘‘বিবিধ বিষয় থেকে মনে হচ্ছে, নিয়ন্ত্রক হিসেবে ট্রাইয়ের ভূমিকা অনেকাংশেই কমানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ট্রাই কিংবা টেলিকম সংস্থাগুলির পরামর্শ নেওয়া হবে না বলেই শোনা যাচ্ছে।’’ ডট সূত্রেও খবর, নতুন আইনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ম বদলের জন্য ট্রাইয়ের পরামর্শের কোনও ভূমিকা থাকছে না। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ডট-কে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল ট্রাই। তাদের বক্তব্য, এখন স্পেকট্রাম বা গ্রাহক পরিষেবা সংক্রান্ত পরিবর্তন করা হলে নিয়ন্ত্রক নিজের অবস্থান জানায়। চাওয়া হয় বিভিন্ন সংস্থার পরামর্শ। তার পরে সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, নতুন আইনে সেই বিকল্প থাকছে না। এ ব্যাপারে ট্রাইয়ের আপত্তিও
মানা হয়নি।
একই সঙ্গে এখন কোনও পরিবর্তন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি না হলে, আইনি পদক্ষেপ করতে পারে সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর, নতুন নিয়মে সেই বিকল্পও থাকছে না। সিওএআই-এর মতে, সে ক্ষেত্রে টেলিকম ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে। কারণ, ট্রাইয়ের পাশাপাশি টেলিকম সংস্থাগুলির সুযোগও খর্ব হতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)