টেলিকম গ্রাহকদের অবাঞ্ছিত ও ভুয়ো ফোন কল এবং এসএমএসের হাত থেকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে এই ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক ট্রাই। সেগুলি বাস্তবে কতটা কার্যকর করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি, বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ, পেনশন ফান্ড নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ-সহ সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে করে তারা। সেখানেই স্থির হয়েছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক জালিয়াতি রুখতে গ্রাহকের সম্মতি নিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থার প্রচারমূলক কল বা এসএমএস পাঠানোর নতুন নিয়ম শীঘ্রই দেশের সাতটি প্রথম সারির ব্যাঙ্কে শুরু হবে পরীক্ষামূলক ভাবে। এই ব্যাঙ্কগুলি হল- স্টেট ব্যাঙ্ক, পিএনবি, আইসিআইসিআই, অ্যাক্সিস, এইচডিএফসি, কোটাক মহিন্দ্রা, কানাড়া ব্যাঙ্ক। এর জন্য আলাদা কর্মীও নিয়োগ করতে হবে।
এর পাশাপাশি, টেলি-বিপণন সংক্রান্ত সমস্ত ফোন কলের জন্য ১৬০০ সিরিজ়ের নম্বর ব্যবহারের নিয়ম কড়া ভাবে লাগুর সিদ্ধান্তও হয়েছে। যাতে কলটি এলে গ্রাহক একবার দেখেই বুঝতে পারবেন প্রচারমূলক কিনা। ফলে ইচ্ছা হলে ধরবেন, না হলে এড়িয়ে যাবেন। এ ছাড়াও, এন্টারপ্রাইজ় লাইনের (যে নম্বর থেকে একসঙ্গে অনেক প্রচারমূলক ) নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, এসএমএসের শিরোনামের (হেডার) জন্য আলাদা পোর্টাল, জালিয়াতি ধরার নতুন প্রযুক্তি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ট্রাই চেয়ারম্যান অনিল কুমার লাহোটি বলেন, ‘‘গ্রাহকদের যে কোনও রকম অবাঞ্ছিত কল কিংবা আর্থিক প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে একের পর এক পদক্ষেপ করছি আমরা।’’ বৈঠকে এ ব্যাপারে লেনদেন বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এনপিসিআই-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
টেলিফোন মারফত পণ্য-পরিষেবা বিপণনের অবাঞ্ছিত কল এবং এসএমএস এবং আর্থিক জালিয়াতি সংক্রান্ত বিষয় রুখতে ট্রাইয়ের সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— টেলি-বিপণনের কলে ১৬০০ সিরিজ়ের নম্বর চালু করা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)