প্রায় প্রত্যেক মানুষের জীবনে ইন্টারনেট পরিষেবা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে অত্যাবশ্যক। বাড়িতে বসে পেশাদারি কাজের প্রবণতা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাজারহাট, বিল জমা-সহ বিভিন্ন পরিষেবার সুবিধাও নেওয়া যাচ্ছে বাড়ি থেকে। পুরোটাই নেটের মাধ্যমে। এই প্রেক্ষিতে আবাসনগুলির ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নতির লক্ষ্যে নতুন নির্দেশিকা আনতে চলেছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। এ ব্যাপারে প্রাথমিক ভাবে একটি পরামর্শপত্র (রেটিং অব প্রপার্টিজ় ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি রেগুলেশন, ২০২৪) এনেছে তারা। যেখানে আবাসনের ডিজিটাল পরিকাঠামো (ইন্টারনেট, ফোনকল পরিষেবা) সম্পর্কে জানাতে পারবেন আবাসিকেরা। এই পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে ট্রাইয়ের নির্দেশিকা মেনে কাজ করতে হবে আবাসন সংস্থাগুলিকে।
ট্রাই জানিয়েছে, আবাসিকেরা যদি পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্ট না হন, তা হলে তাঁদের পরামর্শ মতো ট্রাইয়ের নির্দেশিকা মেনে ডিজিটাল পরিকাঠামো বদলাতে হতে পারে আবাসন সংস্থাকে। কারণ, টেলিকম গ্রাহকেরা যে খরচ করেন, তাতে তাঁদের ভাল পরিষেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। পরামর্শপত্রে বলা হয়েছে, ঠিক সে কারণেই আবাসন তৈরির সময়ে ট্রাইয়ের নির্দেশিকা মেনে ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে নির্মাণ সংস্থাগুলিকে। টেলিকম সংস্থাগুলিও ট্রাইয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, তারা যথেষ্ট বিনিয়োগ করে। মানুষ যাতে ভাল পরিষেবা পান তা নিশ্চিত করতে হবে।
ট্রাইয়ের মতে, যে সব আবাসনের ডিজিটাল পরিকাঠামোর মূল্যায়ন ভাল
হবে, সেগুলির বেশি ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে এতে উপকৃত হবে আবাসন শিল্পও। তথ্য বলছে, মানুষ বাড়িতেই বেশি ডেটা ব্যবহার করেন। সে দিকে তাকিয়েই মূল্যায়ন চালুর সিদ্ধান্ত। সাধারণ মানুষ যাতে ৪জি, ৫জি এবং পরবর্তী কালে ৬জি পরিষেবা নির্বিঘ্নে পেতে পারেন, সেটাই এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)