Advertisement
E-Paper

শুল্ক-যুদ্ধে আশঙ্কা বাড়ছে অর্থনীতির

শুক্রবার ৭,৫০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে বাড়তি ১০% শুল্ক বসানো হবে বলে জানিয়েছে বেজিং। তার পরেই ভারতীয় সময় গভীর রাতে পাল্টা চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ০২:২২
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

বাণিজ্য চুক্তির পথ খুঁজতে ফের আলোচনা শুরুর কথা সেপ্টেম্বরে। অথচ তার আগে শুল্ক-যুদ্ধের রেশ আরও তীব্র করে শুক্রবার ফের নতুন করে একে অপরের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে চিন ও আমেরিকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর জেরে শুধু বাণিজ্যই নয়, সামগ্রিক ভাবে বিশ্ব অর্থনীতির আকাশে আরও গভীর হচ্ছে আশঙ্কার মেঘ।

শুক্রবার ৭,৫০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে বাড়তি ১০% শুল্ক বসানো হবে বলে জানিয়েছে বেজিং। তার পরেই ভারতীয় সময় গভীর রাতে পাল্টা চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, আমেরিকায় আমদানি হয় এমন ২৫,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে ১ অক্টোবর থেকে শুল্ক ২৫% থেকে বেড়ে হবে ৩০%। এ ছাড়াও ৩০,০০০ কোটির চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১৫% করা হচ্ছে। একই সঙ্গে টুইটে ট্রাম্প মার্কিন সংস্থাগুলিকে চিন ছাড়ার ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন। দাবি করেছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য ফেরানোই তাঁর লক্ষ্য।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, গত বছর মার্চ থেকে শুরু হওয়া শুল্ক-যুদ্ধ এমনিতেই বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এখন মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে জার্মানি এবং আমেরিকার পরিসংখ্যান। শ্লথ হচ্ছে জাপান, ব্রিটেন-সহ অন্যান্য দেশের অর্থনীতিও। এই অবস্থায় চিন ও আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধ বন্ধ না-করলে, তার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির সমস্যা বাড়তে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের দাবি, চিন এবং ইউরোপের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুল্ক নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়িয়েই চলেছেন। বিশ্ব অর্থনীতিকে যা মন্দার মুখে ফেলে দিতে পারে। তবে ট্রাম্প ফরাসি ওয়াইনে শুল্ক বসালে, তাঁরাও পাল্টা দিতে প্রস্তুত বলেও দাবি টাস্কের।

China Americ Tariff Security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy