ঋণদাতারা বলেছে, জেট এয়ারওয়েজের নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে তারা আশাবাদী। কিন্তু এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে সমস্যা মেটানোর জন্য তাঁদের হস্তক্ষেপ চাইল জেট কর্মীদের দু’টি সংগঠন। তাদের দাবি, পরিষেবা স্থগিত রাখা বিমান সংস্থাটি ফের চালানোর জন্য পুঁজি জোগাড়ে সাহায্য করুক কেন্দ্র। হস্তক্ষেপ করুক কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর ক্ষেত্রেও। আজই জেটের বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেন সংস্থার সিইও বিনয় দুবে, বিমান সচিব প্রদীপ সিংহ খারোলা এবং কর্মী ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। দুবের দাবি, জেটের সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেটলি।
সূত্রের খবর, দু’টি ইউনিয়ন আলাদা ভাবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেও তাদের বয়ান প্রায় এক। সেখানে বলা হয়েছে, সংস্থার কর্মী সংখ্যা প্রায় ২৩,০০০। গত সাত মাস ধরেই তাঁদের বেতন অনিয়মিত। এখন পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের তিন মাসের বেতন বাকি। বাকিদের এক মাসের। আর্জি জানানো হয়েছে, সংস্থায় জরুরি ভিত্তিতে পুঁজি আনার ব্যাপারেও যেন হস্তক্ষেপ করেন তাঁরা। কারণ, এখন ‘প্রতি মুহূর্ত ও সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ’। তা ছাড়া শুধু কর্মীরা নন, জেটের পরিষেবা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিমানবন্দরের দোকান-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র সমস্যায় পড়েছে বলে ইউনিয়নগুলির দাবি।
পর্যটন মহলের ব্যাখ্যা, জেটের পরিষেবা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে তাদের মধ্যেও। সূত্রের খবর, উড়ানের অভাবে টিকিটের দাম বাড়ায় যাত্রা বাতিল করছেন অনেকে। এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে হোটেল ব্যবসায়। হোটেলের বুকিং বাতিলের হারও বেড়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, টিকিটের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুম্বই-হায়দরাবাদ, মুম্বই-দিল্লি এবং দিল্লি-মুম্বই রুটে। ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি সুনীল কুমার বলেন, ‘‘জেটের ঘটনায় পর্যটন শিল্প ধাক্কা খেয়েছে। এতটাই যে, খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে বেরোনো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।’’
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy