অতিমারি বহু মানুষকে দারিদ্রসীমার নীচে ঠেলে দিয়েছিল। বিশ্বে বেড়েছিল খাদ্যসঙ্কট। তা আরও দুরূহ জায়গায় পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অনিশ্চয়তা, জলবায়ু সঙ্কট এবং প্রথম বিশ্বের দেশগুলি রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্যসুরক্ষা প্রকল্পের (ডব্লিউপিএফ) তহবিল অন্তত ৪০% কমিয়ে দেওয়ায়। ডব্লিউপিএফ-এর ডেপুটি এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর কার্ল সাকুর বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আজ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকু জানান, খাদ্যসঙ্কটের পরিস্থিতিতে একটা সময়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেই জায়গা থেকে ভারত এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। খাদ্যসুরক্ষা বিধি এবং মিড ডে মিলের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে খাদ্যশস্য। তাই এই দেশের সাফল্যের মডেল তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামনে তুলে ধরতে চায় ডব্লিউপিএফ। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। এর একটা কারণ ওইসিডি রাষ্ট্রগোষ্ঠীর পশ্চিমের দেশগুলি রাষ্ট্রপুঞ্জের এই প্রকল্পের তহবিলে কাটছাঁট করছে। পাশাপাশি খাদ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারত নিজের জন্য যে সমাধানসূত্র বার করেছে, তা-ও তুলে ধরা দরকার।’’ সাকু তিন দিনের ভারত সফরে এসেছেন। আজ চাল সরবরাহের ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রকের সঙ্গে সংস্থার ইচ্ছাপত্র সই হয়েছে। তিনি জানান, আমেরিকা, ইউরোপ, ব্রিটেনের মতো প্রথম বিশ্বের দেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্যসুরক্ষা প্রকল্পের বরাদ্দ বিপুল কমিয়েছে। ফলে জোগানশৃঙ্খল সাজাতে হচ্ছে নতুন ভাবে। তাতে ভারতই এখন ভরসা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)