অতিমারির ঢেউয়ে বিপর্যস্ত বিশ্ব যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন সঙ্কট তৈরি করে। চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে কার্যত মুছে যায় উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দুনিয়ার দূরত্ব। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের বাকি পথটা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলেই ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সমীক্ষায় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিভিন্ন সংস্থার চিফ রিস্ক অফিসারদের (সিআরও) বড় অংশ। ঝুঁকি মাপা এবং দক্ষ হাতে তা সামলানোই যাঁদের কাজ। তাঁদের মতে, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক চাপানউতোর-সহ সার্বিক ভাবে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্বে অনিশ্চয়তা বাড়াবে। যা সংস্থাগুলির জন্যেও ঝুঁকির।
৪০ জন সিআরওকে নিয়ে সমীক্ষা চালায় ডব্লিউইএফ। দেখা গিয়েছে, অর্থনীতির নানা মাপকাঠির দুর্বলতা, কাঁচামালের দাম ও জোগানে অস্থিরতা, সশস্ত্র সংঘর্ষ, নিয়মের বদল সংস্থাগুলির কাছে উদ্বেগের। তবে মূল্যবৃদ্ধি ও জোগানে ধাক্কা সমস্যা বাড়ালেও, চিন্তা বেশি নৈতিকতা ও সামাজিক বিষয়ের ঝুঁকি। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৮৫ শতাংশেরও বেশি সিআরও-র মতে, আগামী ছ’মাসে অস্থিরতা বজায় থাকবে বা বাড়বে। বড় দেশগুলির মধ্যে এবং বাইরেও আর্থিক পরিস্থিতি থাকবে অনিশ্চিত। ৫০% মনে করেন, সশস্ত্র সংঘর্ষ বা দ্বন্দ্ব সংস্থার পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারে। কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত ঝুঁকি দুশ্চিন্তায় রাখছে তাদের। সমীক্ষা বলছে, এর প্রয়োগ যতটা বাড়ছে, তার ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশল ততটা নয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)