বাজেটে প্রস্তাবিত করছাড়ের সুবিধা ছাড়া কম হারে আয়করের নতুন নিয়ম নিয়ে ধন্দ ছিলই। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছিল আশঙ্কা, কেন্দ্র কি তা হলে পরোক্ষে স্বল্প সঞ্চয় বা ব্যাঙ্কে টাকা জমানোর অভ্যাসকে নিরুৎসাহিত করে আমজনতাকে শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নির দিকে ঠেলতে চায়! কার্যত সেই আশঙ্কাই আরও উস্কে দিয়ে রবিবার কলকাতায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বললেন, ‘‘আগের মতো ডাকঘর, ব্যাঙ্ক, ফিক্সড ডিপোজ়িটেই যে শুধু টাকা জমাতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা তো নেই! বরং বন্ড বা শেয়ার বাজারে টাকা রেখেও একই বা বেশি আয় করতে পারেন কেউ।’’
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, কম কর দেওয়ার নতুন নিয়ম এনে আসলে সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা আরও বাড়িয়েছে কেন্দ্র। চাইলে করদাতারা বাড়তি টাকা ইচ্ছেমতো খরচ করতে পারেন, আবার চাইলে জমাতে পারেন পছন্দের সঞ্চয় প্রকল্পে। অর্থমন্ত্রীর এই যুক্তি শোনার পরেই উঠেছে পাল্টা প্রশ্ন, শেয়ার বাজার সকলের জন্য কতটা সুরক্ষিত? ক’জনই বা সেই সুযোগ নিতে পারেন? প্রবীণ নাগরিকদের মতো সুদ নির্ভর মানুষ তা হলে কোথায় যাবেন?
বাজেট পেশের পরে শিল্পমহল, ব্যবসায়ী, করদাতাদের মন বুঝতে বিভিন্ন শহরে ঘুরছেন অর্থমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা। মুম্বই ও চেন্নাইয়ের পরে এ দিন ছিল কলকাতার পালা। সকাল থেকে দু’দফায় সকলের সঙ্গে কথা বলেন নির্মলা। সেখানে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্যর আশঙ্কা, নতুন আয়কর বিধিতে করছাড় না-থাকায় স্বাস্থ্যবিমার মতো প্রকল্প কিনতে করদাতা নিরুৎসাহিত হলে তাঁর স্বাস্থ্যখাতে খরচ বাড়বে। তাঁদের সেই খরচে ছাড়ের আর্জি জানান তিনি।