ভারতের উপরে বসেছে ৫০% শুল্ক। থমকে গিয়েছে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা। এই পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির জন্য ওয়াশিংটনের সঙ্গে কেন্দ্র কথা বলছে বলে স্পষ্ট করলেন বণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। যে ইঙ্গিত কয়েক দিন আগেই দিয়েছিল সরকারি সূত্র। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর দাবি, কথা চলছে। অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যেই প্রথম দফার চুক্তি হবে বলে আশা। তবে একই সঙ্গে গয়ালের সতর্কবার্তা, ‘‘কেউ যদি ভাল অবাধ বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়, তা হলে আমরা সব সময় রাজি। কিন্তু কেউ যদি বৈষম্যের পথে হাঁটে ...আমরা কখনওই মাথা নোয়াবো না, কখনও দুর্বল হব না, বরং নিজেদের মতো এগিয়ে যাব।’’ এর পাশাপাশি, বর্তমান অবস্থায় রফতানিকারীদের সুরাহা দিতে সরকার শীঘ্রই এই ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করার একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করবে বলেও জানিয়েছেন গয়াল।
ভারতের উপরে ২৫% পাল্টা শুল্ক বসানোর পরে রাশিয়া থেকে নয়াদিল্লি তেল কেনা বন্ধ না করায় ২৭ অগস্ট থেকে আরও ২৫% শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘোষণা করেছেন, ভারতের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য আলোচনা চালাবে না তাঁর প্রশাসন। যে কারণে গত সপ্তাহে দিল্লিতে দু’দেশের মধ্যে পঞ্চম দফার বাণিজ্য বৈঠক বাতিল হয়েছে। এখনও ষষ্ঠ দফার দিনক্ষণ স্থির হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বারবারই রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে নিজেদের জায়গায় অটল থাকার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। বার্তা দিয়েছে, দেশের কৃষক এবং জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
আজ গয়ালের দাবি, বিশ্বের জোগানশৃঙ্খলে ভারতের অংশীদারি কম। ফলে বিশ্ব বাণিজ্যের অস্থিরতার ততটা প্রভাব এ দেশের উপরে পড়বে না। তবে আমেরিকার শুল্কের কথা মাথায় রেখে শীঘ্রই রফতানি ক্ষেত্রের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করবে সরকার। দেখবে একতরফা শুল্ক বসায় তারা যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে। সামগ্রিক ভাবেও রফতানি ক্ষেত্রকে সব রকম সাহায্য করা হবে। তাঁর বক্তব্য, আরও বিভিন্ন দেশে ভারতের পণ্যকে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। কাতারের মতো দেশ চায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে। এমনকি, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে রফতানিগত বছরকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)