চলতি বছরে পণ্য ও পরিষেবা কর (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি) কমাবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শনিবার, ৮ মার্চ তারই ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জিএসটির নতুন স্ল্যাব তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নির্মলা জানিয়েছে, রাজস্ব নিরপেক্ষ হার (রেভিনিউ ন্যাচরাল রেট বা আরএনআর) ২০১৭ সালে ছিল ১৫.৮ শতাংশ। কিন্তু, ২০২৩ সালে সেটাই ১১.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার দিল্লিতে একটি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন জওহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী নির্মলা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘জিএসটির হারের সংশোধনের জন্য ২০২১ সালে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী (গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স) তৈরি করা হয়েছিল। তারা ইতিমধ্যেই কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। এ বার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি কাউন্সিল।’’ তবে তার আগে শেষ মুহূর্তের পর্যালোচনার দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
‘‘নতুন করের স্ল্যাব চালু করার ক্ষেত্রে আমরা একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছি। তবে এখনও কিছু জটিল বিষয় রয়ে গিয়েছে। যুক্তির উপর দাঁড়িয়ে আমাদের করের স্ল্যাব ঠিক করতে হবে। তার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার।’’ অনুষ্ঠানে বলেন সীতারামন। পরবর্তী জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে তিনি সিলমোহর দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবরে জীবন ও স্বাস্থ্য ও বিমায় জিএসটি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় নির্মলার তৈরি করে দেওয়া ১৩ সদস্যের মন্ত্রিগোষ্ঠী বা জিএমও। সূত্রের খবর, মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যেরা প্রবীণ নাগরিক ছাড়া অন্যান্য গ্রাহকের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা কভারেজের স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি মকুব করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। তবে ৫ লক্ষ টাকার বেশি কভারেজের স্বাস্থ্য বিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি কার্যকর রাখতে চাইছেন তাঁরা।
অন্য দিকে বর্তমানে জীবন বিমার টার্ম পলিসি ও পারিবারিক ফ্লোটার পলিসির ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। এটাও কমিয়ে আনা বা মকুব করার পক্ষে সওয়াল করেছেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা। জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এতে সিলমোহর দিলে আমজনতার যে অনেকটাই স্বস্তি পাবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পাশাপাশি, এর জেরে জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমায় বিনিয়োগ বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।