প্রতীকী ছবি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কাহিল বিশ্ব অর্থনীতি। চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সুদের হার বাড়ছে সর্বত্র। রাষ্ট্রপুঞ্জের উন্নয়ন প্রকল্পের রিপোর্টে সতর্কবার্তা, এই অবস্থা চললে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়তে পারে উন্নয়নশীল দেশগুলি। তাদের সাহায্য করতে তাই ধনী দেশ এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। শুধু ঋণ পুনর্গঠন নয়, প্রয়োজনে তা মুছে ফেলার কথাও বলেছে।
আইএমএফ বলেছিল, পণ্যের দাম মাত্রা ছাড়ালে সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। একই কারণে আগামী বছর বিশ্ব জুড়ে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা রাষ্ট্রপুঞ্জেরও। মঙ্গলবার তাদের উন্নয়ন প্রকল্পের অধিকর্তা আচিম স্টেনার জানান, সুদ বৃদ্ধির জেরে ঋণের খরচ বাড়ায় গরিব এবং উন্নয়শীল দেশগুলিতে ধাক্কা খেতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন এবং দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই। সমস্যায় পড়তে পারে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি। সমীক্ষা চালানো হয়েছে এমন ৫৪টি দেশে। যার প্রায় অর্ধেকই আফ্রিকার। স্টেনারের মতে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আইএমএফের পরিসংখ্যান বলছে প্রায় ৬০% কম আয়ের দেশ ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে তারা অতিমারি এবং খাদ্য-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলা করতেপারবে না।
প্রকল্পের সিনিয়র ইকনমিস্ট জর্জ মোলিনার দাবি, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বেসরকারি ঋণদাতাদের ধার পুনর্গঠন হয়নি। ওই সব সংস্থা চায় টাকা ফেরত পেতে এবং দ্রুত লোকসান মুছতে। তাদের আর্থিক নিশ্চয়তা দিতে পারে উন্নত দুনিয়াই। স্টেনারের মতে, এ জন্য সুদ কমার অপেক্ষায় থাকা সমীচিন হবে না। বরং ঋণ শোধের সময় না-বাড়িয়ে সেগুলি পুনর্গঠন করা বা মুছে ফেলা জরুরি। যাতে দেশগুলির দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy