বৈঠক: হি এবং ট্রাম্প। রয়টার্স
বাণিজ্য নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির রেষারেষিতে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে সারা পৃথিবীতে। এ বার নতুন করে শুরু হওয়া আলোচনার প্রথম পর্যায়ের শেষে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহল।
গত এক বছর ধরে আমেরিকা ও চিন পরস্পরের পণ্যের উপরে লাগাতার আমদানি শুল্ক চাপিয়ে গিয়েছে। আমেরিকা কড়াকড়ি এনেছে বিভিন্ন চিনা সংস্থার উপরে। এই শুল্ক-যুদ্ধের সামগ্রিক প্রভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই কিছুটা গতি হারিয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসে দু’পক্ষ। শুক্রবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে আলোচনায় বসেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের ভাইস প্রিমিয়ার লিউ হি। বৈঠকের পরে ট্রাম্পের দাবি, দুই দেশ প্রথম পর্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য চুক্তির দোরগোড়ায় পৌঁছতে পেরেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তি নিয়ে আলোচনা ও তার অগ্রগতি ইতিবাচক দিকেই এগোচ্ছে। একই মত চিনের ভাইস প্রিমিয়ারের। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক পরিষেবা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, বিদেশি মুদ্রা এবং কৃষি ক্ষেত্র প্রথম পর্যায়ের চুক্তির অঙ্গ হিসেবে রয়েছে। ৪,০০০-৫,০০০ কোটি ডলার কৃষিপণ্য কেনার ব্যাপারে চিন রাজি হয়েছে। বিনিময়ে ২৫,০০০ কোটি ডলার চিনা পণ্যের উপরে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটন স্থগিত রাখছে। চুক্তিটির চূড়ান্ত রূপ পেতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে দু’পক্ষের যুদ্ধ ইতিবাচক মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্প সংস্থাগুলি। শুল্ক-যুদ্ধের পুরোপুরি অবসান ঘটাতে আরও বেশি উদ্যমী হওয়ার জন্য দু’দেশকেই আবেদন জানিয়েছে তারা। কিন্তু অনেকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, অতীতে একাধিক বার চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে যায় দু’পক্ষ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা ভেস্তে গিয়েছে। ফলে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়া পর্যন্ত আশ্বস্ত হওয়া সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy