ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসার খরচ বাড়িয়ে এক লক্ষ ডলার (প্রায় ৮৯ লক্ষ টাকা) করার পর থেকে ভারতে উদ্বিগ্ন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। টানা নামছে সংস্থাগুলির শেয়ার দর। আমেরিকায় চুটিয়ে ব্যবসা করা একাধিক ভারতীয় সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে চড়ছে জল্পনা। বহু গুণ বেড়েছে চাকরি যাওয়ার আশঙ্কাও। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার দাবি, আমেরিকার ভিসা নীতি ভারতীয় কর্মীদের কর্মসংস্থানে কোপ ফেলবে। তবে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির ব্যবসার উপর নতুন করে তেমন প্রভাব পড়বে না। কারণ, তা এমনিতেই কিছু দিন ধরে শ্লথ। ভিসার চড়া খরচ মুনাফা বড়জোর ১% কমাতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, একে তো ব্যবসা শ্লথ। রয়েছে বেশ কিছু কর্মীর চাকরি হারানোর আশঙ্কা। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে।শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ভিসা নিয়ে কথা বলছে ভারত।
ইক্রা জানিয়েছে, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ সালে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির ব্যবসা বৃদ্ধির হার ছিল গড়ে ১৫%-২০%। তার পরে দু’বছর ধরে তা ঢিমে। গত এপ্রিল-জুন পর্যন্ত শেষ আটটি ত্রৈমাসিকে বেড়েছে মাত্র২%-৩%। তাই চলতি অর্থবর্ষে দেশের প্রথম সারির ১৫টি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার মুনাফায় ভিসা ফি বৃদ্ধির প্রভাব সীমিত থাকতে পারে ২.৬ কোটি ডলারে। যা তাদের লাভের মাত্র ১.০৫%। ইক্রার হিসাবে এটুকু লাভও তখনই কমতে পারে, যখন সংস্থাগুলি আমেরিকায় থাকা সব কর্মীর ভিসার খরচ দেবে।
আমেরিকা থেকে শেষ আট ত্রৈমাসিকে ওই সব সংস্থার ৫৫%-৫৮%ব্যবসা এসেছে। এইচ-১বি ভিসার ৭১% আছে ভারতীয়দের হাতে (প্রায়৪ লক্ষ)। ফলে ভিসা সিদ্ধান্তের প্রভাব এড়ানো কঠিন, মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের এক জন সন্দীপ সেনগুপ্তের মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের শিল্পের জন্য ধাক্কার। ভিসার এত খরচ বইবে না কেউ। বহু কর্মীকে দেশে ফিরতে হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)