গত ৫ বছরের মধ্যে মঙ্গলবারই এক দিনের হিসাবে ডলারের সাপেক্ষে সব থেকে বেশি উত্থানের মুখ দেখল টাকা। এ দিন এক ধাক্কায় ১১২ পয়সা পড়েছে ডলার। ফলে বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময় মার্কিন মুদ্রাটির দাম নেমে দাঁড়িয়েছে ৭০.৪৪ টাকায়।
এই নিয়ে টানা দু’দিনে টাকার নিরিখে ডলারের দাম পড়ে গিয়েছে ১৪৬ পয়সা। গত সোমবার তার দাম ৩৪ পয়সা পড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বিশেষ করে রফতানিকারীরা এবং ব্যাঙ্কগুলি এ দিন প্রচুর পরিমাণে ডলার বিক্রি করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমার কারণেও চাহিদা কমেছে ডলারের। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মার্কিন মুদ্রাটির দাম কমার পিছনে মূলত এই সব কারণগুলিই কাজ করেছে।
এ ছাড়া, ভারতের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। যা ডলার আরও সস্তা করে টাকার দামকে ঠেলে তুলতে জ্বালানি জোগায়। কারণ, ওই সব লগ্নিকারী সংস্থা ভারতে ডলার এনে তা টাকায় রূপান্তরিত করে শেয়ারে বিনিয়োগ করে। ফলে বাজারে ডলারের জোগান বেড়ে যায়, কমে তার দাম।
এ দিন টাকার পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ার বাজারও। সেনসেক্স উঠেছে ৭৭.০১ পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ৩৬,৩৪৭.০৮ অঙ্কে। নিফ্টি ২০.৩৫ বেড়ে ১০,৯০৮.৭০-তে। সেনসেক্স অবশ্য টানা ৬ দিন ধরেই টানা বাড়ছে। এই ক’দিনে তার উত্থান হয়েছে ১,৩৮৭ পয়েন্ট।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা, সূচক আরও উঠবে। অন্তত বাজেটের আগে তার তেমন পড়ার সম্ভাবনা কম। বাজার বিশেষজ্ঞ দেকো সিকিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে বলেন, ‘‘সূচকের টানা ওঠাকে বাজারের প্রাক্-বাজেট উত্থান বলা যেতে পারে। ভোটের বাজারে এ বারের বাজেটে তেমন তেতো প্রস্তাব থাকার সম্ভাবনা কম। সে ক্ষেত্রে নিফ্টি দ্রুত ফের ঢুকতে পারে ১১ হাজারের ঘরে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy