অবশেষে চার্জশিট বিজয় মাল্যকে।
সেই সঙ্গেই আইডিবিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান যোগেশ অগ্রবাল ও আট জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল সিবিআই। মাল্যের বিমান সংস্থা কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য ঋণ নেওয়া হলেও, তার একটা বড় অংশ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সরিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে এই চার্জশিটে। সিবিআইয়ের দাবি, বিমান সংস্থাটির নামে ব্যাঙ্ক থেকে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হলেও, তার মধ্যে ২৬৩ কোটিই বিভিন্ন লোকের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সরানো হয়েছে।
পাশাপাশি, ১৭টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামের কাছে ঋণ বকেয়া থাকা সত্ত্বেও কেন আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কর্তারা আলাদা করে মাল্যের ঋণের আবেদন মঞ্জুর করলেন, চার্জশিটে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা নিয়েও। সিবিআইয়ের অভিযোগ, মাল্যের সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দিতে গিয়ে আইন ভেঙেছেন ব্যাঙ্কের কর্তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি চক্রান্ত, প্রতারণা, জালিয়াতি দমন আইনের আওতায় মামলা করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। এই চার্জশিট দাখিলের ফলে লন্ডন থেকে মাল্যকে ফেরাতে ব্রিটেনে আবেদন করার পথ খুলবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
উল্লেখ্য, কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্সকে দেওয়া আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৯০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ কোথায় গিয়েছে তা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই তদন্ত করছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় ইতিমধ্যেই কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনের আওতায় ভারতে মাল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে এগোনোর কথা জানিয়েছে তারা। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই তদন্তভার সিবিআইয়ের উপর বর্তায়।
এই মামলার আওতায় গত কালই বিজয় মাল্যের ইউবি গোষ্ঠীর বেঙ্গালুরু অফিস-সহ ১১টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy