মাটি থেকে ৩৫ হাজার ফুট উপর থেকে সোজা সমুদ্রের ৩৫ ফুট নীচে।
পর্যটকদের এ ধরনের অভিজ্ঞতার সুযোগ দেওয়াকেই বাজার বাড়ানোর হাতিয়ার করছে বিস্তারা। সংস্থার প্যাকেজ নিলে কলকাতা থেকে বিমানে পোর্টব্লেয়ার ছুঁয়ে ক্যাটাম্যারানে পৌঁছে যাওয়া যাবে হ্যাভলক দ্বীপে। আর সেখানে কালো পোশাক পরে, মুখে অক্সিজেনের পাইপ গুঁজে (স্কুবা-ডাইভিং) নেমে যাওয়া যাবে সমুদ্রের ৩৫ ফুট নীচে, যেখানে আপনার সঙ্গে খেলে বেড়াবে রংবেরঙের মাছ।
ইদানীং যাঁরা আন্দামান বেড়াতে যাচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই ঝোঁক হ্যাভলক বা নীল দ্বীপে এসে থাকা। পোর্টব্লেয়ার সে অর্থে আর দশটা সাধারণ শহরের চেহারা নিয়েছে। কিন্তু, অপরূপ দুই দ্বীপ হ্যাভলক আর নীল। টলটলে নীল জলের সমুদ্র ঘিরে রেখেছে তাদের। সমুদ্র সৈকত ঘেঁষা সেই নীল জলের তলায় রয়েছে স্কুবা ডাইভিং-এর সুযোগ। চাইলে ডুবুরির মতো সাঁতার বা ‘স্নোরকেলিং’-ও করা যাবে।
হ্যাভলকের সমুদ্র সৈকতে বসে বিস্তারার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সঞ্জীব কপূর বলেন, ‘‘আমরা চাইছি আপনি কলকাতা বিমানবন্দরে ব্যাগ আমাদের হাতে নিশ্চিন্তে তুলে দিয়ে উঠে বসুন বিমানে। পোর্টব্লেয়ার বিমানবন্দরে নামার পরে আমরাই আপনাকে নিয়ে যাব জেটিতে। সেখান থেকে ক্যাটাম্যারানে হ্যাভলক। জেটি থেকে আমাদের গাড়িতে করে সোজা হোটেল। সেখানে পৌঁছে দেখবেন কলকাতা বিমানবন্দরে যে-ব্যাগ আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তা হাজির।’’
এ ভাবে কলকাতা থেকে গিয়ে হ্যাভলকে ২ রাত ৩ দিন থাকার খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে বিস্তারা। সেই টাকার মধ্যে রয়েছে যাতায়াতের বিমান ভাড়া, পোর্টব্লেয়ার থেকে হ্যাভলক যাতায়াতের খরচ। হোটেলে থাকার সঙ্গে রয়েছে বিনামূল্যের প্রাতরাশ। সারা দিনে বাকি খাওয়া নিজের খরচে। স্নোরকেলিং করতে খরচ জন প্রতি প্রায় দেড় হাজার টাকা। স্কুবা-র খরচ সাড়ে চার হাজার টাকা।
দ্বীপের এক প্রান্তে রাধানগর সৈকত। তার গা ঘেঁষে বেয়ারফুট রিসর্ট, যার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে বিস্তারা। ছোট ছোট কটেজে এক একটি ঘর। পায়ে পায়ে হাঁটলে সামনেই সমুদ্র। নির্জন সৈকত। বেয়ারফুটের ম্যানেজার সঞ্জীব কুমারের কথায়, ‘‘ঘরে ফোন, টিভি, ওয়াই-ফাই নেই। আমরা চাই, সতেজ পরিবেশের স্বাদ নিন অতিথিরা।’’ এই হোটেলেরই নিজস্ব স্কুবা-ডাইভিং সেন্টার রয়েছে। অতিরিক্ত খরচে সেখানে গিয়ে ডুবে যাওয়া যাবে সমুদ্রের তলায়।
টাটা সন্সের সঙ্গে সিঙ্গাপুর এয়ারের জোট বিস্তারা ৩০ সেপ্টেম্বরই চালু করেছে কলকাতা-পোর্টব্লেয়ার উড়ান। যেখানে যেখানে তারা উড়ান শুরু করছে, সেখানেই স্থানীয় হোটেল ও রিসর্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চায় বিস্তারা। কপূরের কথায়, ‘‘শুধু যাত্রী পৌঁছে দেওয়ার মধ্যে পরিষেবা সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। এখন মানুষ প্যাকেজ চাইছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy