Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জেলা-শহরে সময় বাঁধল বণ্টন সংস্থা

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, লক্ষ্য পূরণে ওই সব জেলায় বণ্টন সংস্থার আঞ্চলিক ম্যানেজারদের দ্রুত কাজ শেষের পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫৭
Share: Save:

বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অনুমতি পাওয়ার পরে বরাদ্দ অর্থ কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে সময়েই চলে এসেছিল। কিন্তু রাজ্যের নিজস্ব রিপোর্টেই ধরা পড়েছে, ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট (আইপিডিএস) প্রকল্পের কাজ সময়ে শেষ হয়নি বহু জেলায়। যে প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করে এমন জেলা-শহরগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নত কাঠামো, গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা বা বিদ্যুৎ চুরি বন্ধের মতো কাজ চলে কেন্দ্র, রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে। প্রকল্পটির লক্ষ্য পরিষেবা দিতে গিয়ে বণ্টন সংস্থাগুলির যে ক্ষতি (এটিসি লস) হয়, তা কমিয়ে নিয়ে আসাও। এ বার তাই রাজ্যের জেলা-শহরগুলিতে আইপিডিএসের বকেয়া কাজ সম্পূর্ণ করতে রীতিমতো সময়সীমা বেঁধে দিল বণ্টন সংস্থা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, লক্ষ্য পূরণে ওই সব জেলায় বণ্টন সংস্থার আঞ্চলিক ম্যানেজারদের দ্রুত কাজ শেষের পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের রিপোর্ট বলছে, আইপিডিএসের কাজ সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াতে। কিছু জায়গায় সামান্য যেটুকু বাকি, তা সামনের মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে বণ্টন সংস্থা সূত্র। তবে উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, হুগলি, বীরভূম, হাওড়া মতো বেশ কিছু জেলায় কাজ বাকি অনেকখানি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্য পূরণে তাই সেই সব জায়গায় এ বার সময় বেঁধে এগোনোতেই জোর দিতে চায় বণ্টন কর্তৃপক্ষ।

আইপিডিএসের আওতায় যে প্রকল্প সবুজ সঙ্কেত পায়, তা রূপায়ণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বরাদ্দ প্রস্তাবিত খরচের ৬০%। রাজ্য সরকার দেয় ২৫% ও বণ্টন সংস্থা ১৫%। সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়ার পরে ২৪-৩০ মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির কাজ শেষ করে ফেলা। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত রিপোর্টও দিতে হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশন (পিএফসি) ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে। সেই রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে, রাজ্যে বহু অনুমোদিত প্রকল্পের কাজই নানা কারণে থমকে রয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পিএফসি-র সঙ্গে বণ্টন সংস্থার একটি বৈঠকে বিষয়গুলি উঠেও আসে। তার পরেই বিদ্যুতের মতো জরুরি পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এমন ঢিলেমি নিয়ে প্রশ্ন তোলে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

সূত্রের খবর, এ বার প্রতিটি জেলায় প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। তবে কেন কাজ শেষ হয়নি, সে সম্পর্কে অবশ্য বণ্টন সংস্থা সূত্রে বিশদে কিছু জানা যায়নি। এক কর্তা শুধু জানিয়েছেন, অনেক সময়ই প্রকল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জিনিস কিনতে দেরি হয়। ফলে সময় নষ্ট হয়ে যায় অনেকখানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE