রাজ্যে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থার সংখ্যা অনেক। কিন্তু তাদের বড় অংশই যে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে, তা স্পষ্ট হল সংশ্লিষ্ট দফতরের শীর্ষ-কর্তাদের কথায়। গত সপ্তাহে ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে মেনেছিলেন প্রযুক্তি, রফতানি, তহবিলের সমস্যা এখনও বহু ক্ষেত্রে কাঁটা। সোমবার বিশেষ সচিব সুস্মিতা মুখোপাধ্যায় এই শিল্পের অন্যতম সংগঠন ফ্যাসি-র সভায় মেনে নিলেন, কেন্দ্রের ‘উদ্যম’ পোর্টালে রাজ্যের সংস্থাগুলির নথিভুক্তি খুব কম। তাই পুঁজি-সহ বহু সুবিধাই পাচ্ছে না তারা।
সুস্মিতার কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে ছোট সংস্থা প্রচুর। কিন্তু তারা উদ্যমে নথিভুক্ত কেন হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্রশিল্প সংস্থার নিরিখে আমরাই প্রথম। অথচ কেন্দ্র নথিভুক্ত সংস্থার তথ্য চাইলে দেওয়া যাচ্ছে না।’’ রাজ্যের ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের কার্যকারিতা সম্পর্কেও কিছুটা সন্দিহান তিনি। তাঁর বক্তব্য, এই প্রকল্প ভাল। কিন্তু এতে মাত্র ৫ লক্ষ টাকা ঋণ মেলে। যা একমাত্র অতিক্ষুদ্র সংস্থা হলে কাজে লাগবে। ছোট-মাঝারি সংস্থার প্রয়োজন বেশি। তার উপর এই কার্ড সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। বর্তমানে অবশ্য কার্ডের প্রচারে নেমেছেন সুস্মিতারা।
অনুষ্ঠানে হাজির পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারের মতে, ‘‘রাজ্যে ছোট শিল্পের সমস্যা হল উৎপাদনশীলতা কম, প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত, মজুরি তুলনায় বেশি ও কর্মীরা যথাযথ দক্ষ বা শিক্ষিত নয়। ফলে আমরা এই ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়ছি। সরকার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে, ভর্তুকি দেয়। কিন্তু সেটা স্থায়ী সমাধান নয়।’’ ক্ষুদ্রশিল্প ডিরেক্টরটের যুগ্ম ডিরেক্টর মৌ সেন জানান, এ বছর রাজ্যের ১৭টি সংস্থা শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত হয়েছে। রফতানি, প্রযুক্তি বা আর্থিক বিষয়ের মতো এ ক্ষেত্রেও সাহায্য করছে সরকার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)