প্রতীকী ছবি।
নোট বাতিল করে মোদী সরকার জোর দিয়েছিল নগদের ব্যবহার কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেন প্রযুক্তিতে। যদিও কয়েক মাসের মধ্যে বাজারে ফের নগদের লেনদেন বাড়তে থাকে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর থেকে ডিজিটাল লেনদেনের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, যেখানে টেলিকম পরিষেবা ভাল। বেড়েছে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশেনের (এনপিসিআই) গড়া ইউপিআই ভিত্তিক লেনদেন। যে বাজারে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পাশাপাশি ফোন পে, গুগল পে, অ্যামাজ়ন পে-র মতো বিভিন্ন ‘মোবাইল ওয়ালেট’ সংস্থার সঙ্গে সামিল ফেসবুকের হোয়াটসঅ্যাপ-ও। বছরখানেক আগে এনপিসিআইয়ের সায় মিললেও তারা জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে সদ্য।
ব্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন সংস্থাকে লেনদেন পরিষেবা দিতে হলে এনপিসিআইয়ের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থাকতে হয়। যুক্ত থাকতে হয় গ্রাহকের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককেও। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের গ্রাহক সংখ্যা ৪০ কোটি। গত নভেম্বরে দু’কোটির জন্য আর্থিক লেনদেন পরিষেবা চালুর অনুমতি দেয় এনপিসিআই। তা চালু হলেও এখনও সে ভাবে সাড়া মেলেনি। তুলনায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে ফোন পে, গুগল পে-র মতো প্রতিযোগীরা। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই ধরনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত কারণেই ধাপে ধাপে পরিষেবা চালু হয়। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর পেমেন্টস মানেশ মহাত্মে দাবি করেছেন, তাঁদের প্ল্যাটফর্মে ছবি পাঠানোর মতোই সহজ আর্থিক লেনদেন পরিষেবা গড়ে তুলছেন তাঁরা। যদিও এখনও পর্যন্ত কত জন গ্রাহক পরিষেবাটি নিয়েছেন বা কত লেনদেন হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি সংস্থার মুখপাত্র। তিনি জানান, সহজ-সরল ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রযুক্তির সুরক্ষাও জরুরি। ফলে পরিষেবায় নথিভুক্তির সঙ্গে গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধিও গুরুত্বপূর্ণ। সেটা মাথায় রেখেই এগোচ্ছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy