Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
Global Trade Research Initiative

সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে সওয়াল উপদেষ্টার

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউরোপের পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়মগুলি কী ভাবে ভারতের শিল্প ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, তা খতিয়ে দেখে বিরোধিতা করার পক্ষে ওই বাণিজ্য উপদেষ্টা।

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:০৫
Share: Save:

আর কিছু দিন পরেই লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে দেশে। ভোটে জিতে যারাই সরকার গঠন করুক, কিছু বিষয়কে তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে হাতে নেওয়া উচিত বলে সওয়াল করল বাণিজ্য উপদেষ্টা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)। বিষয়গুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে, ই-কমার্স বা অনলাইনে পণ্য বিক্রির নিয়ম সরল করা, রফতানিকারীদের শুল্ক নগদে ফেরত দেওয়া, ব্যবসা করার কাজ সহজ করার জন্য একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক (এনটিএন) তৈরি, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের স্বাক্ষর করা বাণিজ্য চুক্তিগুলির কার্যকারিতার রিপোর্ট প্রকাশ ইত্যাদি। জিটিআরআই বলেছে, শপথ নেওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে নতুন সরকারের এই সব বিষয়ে পদক্ষেপ করা জরুরি। বিশেষ অর্থিক অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য দেশের বাজারে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া উচিত বলেও মনে করে জিটিআরআই। এখন সেগুলি রফতানি হয়।

এর পাশাপাশি জিটিআরআই বলেছে, তারা মনে করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল বা উপাদানের ক্ষেত্রে চিন নির্ভরতা কমানো জরুরি ভারতের। বিশেষত ওষুধ সংক্রান্ত উপাদান, সৌর সেল, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারিতে। না হলে চিনা সংস্থাগুলি গাড়ি থেকে ফোন, বহু ক্ষেত্রেই বাজারের দখল নিতে শুরু করবে। তাদের নিজেদের অথবা ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ছেয়ে যাবে পুরোটা।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

দেশে একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক (ন্যাশনাল ট্রেড নেটওয়ার্ক বা এনটিএন) তৈরির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জিটিআরআই-এর দাবি, এমন পরিকাঠামো তৈরি করা গেলে তার মাধ্যমে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়া এবং তথ্য জানানোর কাজ অনলাইনে সারা যাবে সহজে। আর সেটা হলে, আমদানি রফতানির জন্য আলাদা করে শুল্ক বিভাগ, বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ, বন্দর বা জাহাজ সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা বলার প্রয়োজন পড়বে না।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউরোপের পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়মগুলি কী ভাবে ভারতের শিল্প ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, তা খতিয়ে দেখে বিরোধিতা করার পক্ষে ওই বাণিজ্য উপদেষ্টা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার একাধিক বৈষম্যমূলক আইন বদলের জন্য ভারতকে আন্তর্জাতিক স্তরে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে তারা। কেন্দ্র বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ১৪টি অবাধ বাণিজ্য চুক্তি এবং ৬টি তুলনামূলক ছোট বাণিজ্য চুক্তি সেরেছে। তাতে ভারতের লাভ বা ক্ষতির খতিয়ান প্রকাশ সরকারের কর্তব্য, মনে করছে জিটিআরআই।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE