Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Wholesale Inflation

চাহিদার ধাক্কা পাইকারিতে

অর্থনীতিবিদদের মনে করাচ্ছেন, খাদ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম তো বাড়েইনি, উল্টে কমেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২০ ০৫:১০
Share: Save:

খুচরোর পরে ফেব্রুয়ারিতে কমল পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারও। জানুয়ারিতে ছিল ৩.১%। গত মাসে হয়েছে ২.২৬%। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর একটা কারণ হতে পারে বাজারে কেনাকাটা কম। চাহিদার থেকে জোগান বেশি।

ফলে উৎপাদনকারীরা ঠিক দাম পাচ্ছে না। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, মূল্যবৃদ্ধি নামার কারণ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হার ৭.৭৯ শতাংশে নামা। ফল, আনাজ, চা, ডিম, মশলা, জোয়ার-বাজরা, নদীর মাছ, গম, মুসুর ডালের দাম কমেছে। বেড়েছে মাংস ও মুগ, রাজমা, অড়হরের মতো ডালের।

অর্থনীতিবিদদের মনে করাচ্ছেন, খাদ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম তো বাড়েইনি, উল্টে কমেছে। ইক্রার প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের যুক্তি, ‘‘মূলত খাদ্যপণ্যের কারণে মূল্যবৃদ্ধি নামলেও, তাতে অশোধিত তেলের দাম কমার প্রভাব রয়েছে।’’ তেলের দর এখন আরও নেমেছে। কেনাকাটায় করোনাভাইরাসের ধাক্কা লেগেছে। কমেছে চাহিদা। ফলে মার্চে ওই হার ১ শতাংশের নীচে নামতে পারে।

আজ সংসদে অর্থ মন্ত্রক বলেছে, করোনার জেরে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ধাক্কা খাওয়ায় প্রভাব ক’মাসে অর্থনীতিতে পড়তে পারে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের যুক্তি, পরিসংখ্যানে অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগার প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নেই। বরং তেলের দাম কমা রুপোলি রেখা হিসেবে দেখা দিতে পারে। নায়ারের যুক্তি, ‘‘তেলের দাম আরও কমবে। পেট্রল-ডিজেলে শুল্ক বসিয়ে কেন্দ্র রাজস্ব আয় বাড়াচ্ছে। না-হলে মূল্যবৃদ্ধিও নামত।’’

এ দিকে, আজই লোকসভায় পাশ হয়েছে অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল। বাজেট প্রস্তাব অনুসারে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজকোষ থেকে ১১০.৪ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে সংসদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Wholesale Inflation February
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE