গত ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে সুদের হার স্থির রেখেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তার আগের ২০২২-এর মে থেকে তা টানা বেড়েছে। দাবি উঠলেও সুদ কমেনি গত বছর। এ বার আসন্ন ২০২৫-এর দিকে তাকিয়ে বসে আছেন বাড়ি-গাড়ি কিনতে ধার নেওয়া ঋণগ্রহীতারা এবং শিল্পমহল। সংশ্লিষ্ট সকলের বক্তব্য, প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ‘অর্জুনের চোখের’ মতো একটাই লক্ষ্যে স্থির ছিলেন— চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরানো। তাই সুদ কমানোর চাপকে প্রতিহত করতে পেরেছিলেন। এমনকি সরকারের তরফে সওয়াল করা হলেও। তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই এ বার প্রত্যাশা পূরণের জন্য ভরসা নতুন গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র।
ফেব্রুয়ারির প্রথম ঋণনীতিতে সঞ্জয়ের নেতৃত্বে সুদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ছ’সদস্যের ঋণনীতি কমিটি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সুদ স্থির রাখা হবে, নাকি তা কমিয়ে আর্থিক বৃদ্ধির চাকা গড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে, দেশ জুড়ে চর্চা চলছে তাই নিয়ে। শক্তিকান্ত মোদী সরকারের আমলা ছিলেন। আমলা ছিলেন সঞ্জয়ও।
শক্তিকান্ত প্রায় দু’বছর সুদ স্থির রাখেন, জুলাই-সেপ্টেম্বরের আর্থিক বৃদ্ধি সাত ত্রৈমাসিকের তলানিতে (৫.৪%) নামার পরেও। তবে তার মধ্যেই সরকারের অন্দরে, শিল্পের চৌহদ্দিতে ও মানুষের মধ্যে সুদ কমানোর দাবি জোরালো হয়েছে। ঋণনীতি কমিটিতে গত বার ছ’জনের মধ্যে দু’জন সুদ ছাঁটাইয়ের পক্ষে ভোট দেন। ফলে ফেব্রুয়ারিতে চাপ আরও বাড়বে বলেই ধারণা। সে ক্ষেত্রে সঞ্জয় অন্য পথে হাঁটেন কি না, সেটাই দেখার বলে দাবি সব পক্ষের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)