Advertisement
E-Paper

স্বনির্ভর করেই বাজিমাত, মিলল স্বীকৃতি

শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল 

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:০৯
 চলছে পৌষ্টিক লাড্ডুর উপকরণ তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র

চলছে পৌষ্টিক লাড্ডুর উপকরণ তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র

গত অর্থবর্ষে পুরুলিয়ার ২৩২টি গোষ্ঠীকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করেছিল আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর সঙ্ঘ সমবায় সমিতি। ব্যাঙ্ক থেকে তাদের মোট ৪.১১ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছিল তারা। আর নিজেরাও দিয়েছিল ৫৪ লক্ষের ঋণ। এ ভাবেই জেলার বহু মহিলাকে স্বনির্ভর করিয়ে জাতীয় ‘লাইভলিহুড মিশন’-এর সম্মান পাচ্ছে পাড়া ব্লকের মহিলা স্বনির্ভর সঙ্ঘটি। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক দেশের ১০টি সঙ্ঘকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। রাজ্য থেকে রয়েছে পুরুলিয়ার সঙ্ঘটি। ৭ মার্চ আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবসে দিল্লিতে হবে অনুষ্ঠান।

পঞ্চায়েত এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় সঙ্ঘ। কাজ, নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সাহায্য করা। ১০ বছর ধরে আনন্দময়ী সঙ্ঘের ১৫ জন পর্ষদ সদস্য তা-ই করছেন। সঙ্ঘ নেত্রী সন্ধ্যা কুইরি বলেন, শুরু ২০০৮ সালে। ২০১৪ সালে সমবায় সমিতির মর্যাদা। এখন পঞ্চায়েতের ২৫১টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করছেন। ছাতার নীচে ২৬৭১টি পরিবার। পর্ষদ সদস্য নুরজাহান খাতুনের দাবি, তাঁদের মাধ্যমে নেওয়া ঋণ খেলাপ করেননি কেউ।

পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নিজের পায়ে দাঁড়ানোয় অন্যতম সমস্যা বিপণন। আনন্দময়ীর সদস্যেরা সেটাই সাফল্যের সঙ্গে করেছেন।’’ শুরুতে ছিল জৈব পদ্ধতিতে আনাজ চাষ। গোষ্ঠীগুলির চাষ করা আনাজ কিনে বিক্রি করা। এখন আছে কর্মতীর্থ ও কৃষক বাজারে দু’টি স্থায়ী দোকান।

পাশের পঞ্চায়েতের একটি সঙ্ঘের হাত ধরে আনন্দময়ী কলকাতাতেও পৌঁছেছে। আনন্দময়ীর সঙ্গে কাজ করা ২০-৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি ঢেকি ছাঁটা চাল, ঘি, বড়ি, খেজুর গুড়, মশলা, মাশরুম বিক্রি হয় ঢাকুরিয়ার সরকারি বিপণন কেন্দ্রে। এখন আনন্দময়ীর এই কাজকে জেলায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে তুলে ধরার কথা ভাবছে প্রশাসন।

National Livelihood Mission Self Help Group
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy