ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা এবং চড়া মূল্যবৃদ্ধি— এই জোড়া কারণে চাপে রয়েছে সারা বিশ্বের অর্থনীতি। মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের দাবি, এর ফলে আগামী অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশে নামতে পারে। তবে পরবর্তী পাঁচটি অর্থবর্ষে গড় বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮%।
জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (এনএসও) পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে। যদিও অধিকাংশ মূল্যায়ন সংস্থাই মনে করছে, সেই সম্ভাবনা কম। এই প্রেক্ষিতে ক্রিসিলের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ডি কে জোশীর ব্যাখ্যা, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং জিনিসপত্রের চড়া দাম অর্থনীতিকে তো ভোগাচ্ছেই। তার উপরে মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে যে ভাবে দেশে-বিদেশে সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে, আগামী বছর তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে। ভারতে সুদ পৌঁছে গিয়েছে করোনার আগের জায়গায়। যা শ্লথ করতে পারে অর্থনীতির গতি।
মূল্যায়ন সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির গড় হার হতে পারে ৬.৮%। এই উঁচু ভিতের প্রভাবে এবং অশোধিত তেল ও জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমলে পরের বছর মূল্যবৃদ্ধি কমে ৫% হতে পারে। কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে ভাল রবিশস্যের চাষও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)